রঙিন প্রাণে রঙিন বসনে
"ফাল্গুনে বিকশিত কাঞ্চন ফুল,
ডালে ডালে পুঞ্জিত আম্রমুকুল।
চঞ্চল মৌমাছি গুঞ্জরি গায়,
বেণুবনে মর্মরে দক্ষিণবায়।"
কবির ভাষায় পহেলা ফাল্গুন ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত।’ প্রকৃতিতে দেখা যায় নানান রঙিন ফুল ও অতিথি অনেক পাখির।ফাল্গুন মানেই দেশীয় পোশাকের সমাহার। রঙিন প্রাণে রঙিন বসনে ঋতুর রাজা বসন্ত উৎসবকে আগমন করতে।
বসন্তের রঙ যদিও বাসন্তি,হলুদ, লাল। তবে মনের আনন্দে যে কোন রঙই পরা যায়। মূলত রঙিন করে বসন্তকে সাজিয়ে তোলাই বসন্তের আমেজ ফুটে ওঠে। বসন্তকে কেন্দ্র করে একটু রঙিন রঙকে প্রাধান্য দাওয়াই ভালো। লাল, নীল, হলুদ, সবুজ, গোলাপি ও সাদা পরতে পারেন।
তাই দেশীয় পোশাকে নানান রঙিন রঙে বসন্ত নিজেকে রাঙিয়ে তুলুন –
হলুদ
হলুদ রঙটি উজ্জ্বল ও উষ্ণ রঙগুলির মধ্যে অন্যতম। হলুদ রঙ সাধারণত রৌদ্রজ্জ্বল, আশাবাদী, ইতিবাচক ও আনন্দ অর্থ প্রকাশ করে। সেইসাথে বন্ধুত্ব, হাসি ও তামাশার রঙ হিসেবেও হলুদ বহুল প্রচলিত। তাই বসন্তে প্রকৃতির পরিবর্তন এর সাথে মিল রেখে হলুদ রঙকে প্রাধান্য দিতেই পারেন।
লাল
লাল গাঢ় ও উজ্জ্বল জাতীয় রঙ। লাল রঙ ভালবাসার প্রতীক। হাজারো রঙের মাঝে নজর কাড়া একটি রঙ লাল। যেকোনো উৎসবকে কেন্দ্র করে লাল এর প্রাধান্য সব সময় সব জায়গায়তে বেশি তাই বসন্তের এবং হিসেবে লাল উন্নতম।
কমলা
কমলা রঙটি হলুদ এবং লাল রঙের মিশ্রণ দ্বারা তৈরি হয়ে থাকে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং প্রাণবন্ত রং মধ্যে কমলা রঙ একটি। কমলা রং প্রকৃতির সাথে সম্পর্কিত। কমলা রঙ এমন একটি রঙ যা শক্তি, উষ্ণতা, আনন্দ এবং সৃজনশীলতা প্রেরণ করে। কমলা রঙেরও অনেক ব্যবহার রয়েছে, যা ডিজাইন, বিজ্ঞাপন, ফ্যাশন, শিল্প, সাজসজ্জা ইত্যাদিতে হতে পারে।
সবুজ
সবুজ রং আসার প্রতীক, নতুন জীবনের প্রতীক ও শক্তি, উর্বরতার এবং বৃদ্ধির প্রতীক। সবুজ শান্তির ও বিশ্রামের রং। এই রং ক্লান্তি হরণ করে আমদের তরতাজা করে। তাই নতুন ঋতু বরণ করতে সবুজ রং পরা যায়।
নীল
নীল রঙ অসীম গভীরতা প্রতীক। নীল মানে আত্ম-জ্ঞান, দার্শনিক গভীরতা। নিয়ে যথেষ্ট উজ্জ্বল এবং গারো রং এটাই সেই সব দিক থেকে বসন্তের রঙের তালিকায় নীল রাখা যেতে পারে।
শুধু সে এক রঙের মধ্যে বসন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে তা নয়। চাইলে নানান রঙের মিশ্রিত পোশাক আশাক বসন্তের পাওয়া যেতেই পারে।
নানান রঙের ব্যাখ্যা তো হল তুমি বসন্ত পরছেন টা কি? বসন্তে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, কুর্তি স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী এবং নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে যে কোন কিছুই পরতে পারেন। তবে পহেলা ফাল্গুন আমাদের বাঙালির একটি উৎসব। তাই সাজের মধ্যে বাঙালিয়ানা ভাবটা থাকাটা জরুরী সেই ক্ষেত্রে শাড়িকে প্রাধান্য দেওয়া ভালো।
এছাড়াও পোশাকের সাথে ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবে চুরি, কানের দুল, গলার হার, আংটি, জুতা ও ব্যাগ এসবের ব্যবহার প্রয়োজন। সম্পূর্ণ সাজটিকে আকর্ষণীয় দৃষ্টিনন্দন করে নেওয়ার জন্য ফ্যাশন অনুষঙ্গ ভূমিকা রাখে।
বসন্তের পোশাক আশাক নিয়ে বাংলাদেশের অনেক ফ্যাশন হাউজে কাজ করছে। বর্ণিল সব রং এবং ডিজাইনের মেলা বসিয়ে দিয়েছে পোশাকে।