তিন কবিতা
ফিরে এসো নীড়ে
ওগো স্বর্গদূত হাসি ছড়িয়ে
মায়ায় জড়িয়ে তবে
কেন গেলে চলে?
যন্ত্রণা লুকিয়ে,আক্ষেপ নিয়ে
বুঝতে দাওনি তো কিছু
যাও এসে কিছু বলে।
চন্দ্র ব্যতীত চন্দ্রের আলো
দিতে কি পারে কেউ?
লক্ষ তারাও নয়,
সূর্যের মতো আলো জ্বালিয়ে
আবার এসো ফিরে
নয় কোন ভয়।
পদ্মাবতী নীড়ে ফিরে এসো
ঝলমলে আলোক বেশে
ফুটবে আলো শেষে
ফিরে এসো নীড়ে সবুজ কন্যা
মায়াবী মুখখানা হেসে
আমাকে ভালোবেসে।
মনের মানুষ
যেই মানুষটা চোখ দেখে মনের ব্যথা অনুভব করতে পারে সে-ই মনের মানুষ
যেই মানুষটাকে কল করার জন্য মোবাইল হাতে নিলে
সেই মুহূর্তে পাল্টা কল আসে সে-ই হলো মনের মানুষ।
যেই মানুষটাকে হারানোর ভয়ে ভেতরে ভেতরে দুমড়ে মুচড়ে যায় সে-ই মনের মানুষ।
যেই মানুষটার আগমনের জন্য মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে সে-ই মনের মানুষ।
যেই মানুষটা একটু চোখের আড়াল হলেই মনের আয়নায় বারবার তাঁর চেহারা ভেসে ওঠে সে-ই মনের মানুষ।
যেই মানুষটাকে শতবার বিরক্ত করার পর ও মুখ দিয়ে হাসি দেয় সে-ই মনের মানুষ,
যেই মানুষটা মনের জমানো কথাগুলো অকপটে বুঝে নেয় সে-ই মনের মানুষ।
যেই মানুষটা মান অভিমানগুলো, ছোট ছোট ভুলগুলো বিনা দ্বিধায় হজম করে সে-ই মনের মানুষ।
যেই মানুষটা পাশে থাকলে বিপদে ভরসা পাওয়া যায় সে-ই মনের মানুষ।
যেই মানুষটার সাথে মনের সব কথাগুলো শেয়ার করা যায় সে-ই মনের মানুষ।
যেই মানুষটার জন্য সারাদিন অপেক্ষা করার পর দরজা খুললেই তাঁর আগমন ঘটে সে-ই মনের মানুষ।
যেই মানুষটার সামনে সেজেগুজে থাকতে হয় না সে-ই মনের মানুষ।
যেই মানুষটার সাথে পাশাপাশি বসে রোজ রোজ চায়ের আড্ডা জমে সে-ই মনের মানুষ।
যেই মানুষটাকে নিয়ে নামীদামি রেস্টুরেন্টে নয় সাধারণ টং দোকানে বসে চায়ের আড্ডা জমে ওঠে সে-ই মনের মানুষ।
যেই মানুষটার ছোঁয়া পেতে মন সদা আকুল হয় সে-ই মনের মানুষ।
নারী আটকায়
নারী আটকায় সম্মানে
নারী আটকায় শ্রদ্ধায়
নারী আটকায় বিশ্বাসে
নারী আটকায় মায়ায়
নারী আটকায় মাতৃত্বে
নারী আটকায় নিখাঁদ ভালোবাসায়
নারী আটকায় দায়িত্বে
নারী আটকায় কর্তব্যে
নারী আটকায় সুন্দর ব্যবহারে
নারী আটকায় বিশ্বস্ত সঙ্গী পেয়ে
নারী আটকায় সন্তানকে ভালোবেসে
নারী আটকায় সংসারকে ভালোবেসে
নারী আটকায় নির্ভরযোগ্য মানুষ পেয়ে
নারী আটকায় স্বাধীনতায়
নারী আটকায় চরিত্রবান পুরুষে
নারী আটকায় ভালোবাসার মায়া জালে।