Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ভৈরবী’ পালন করেছে চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ‘ঈভাকা’

গত ১১ই জুন, ২০২৪ (২৮শে জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ) ‘ভৈরবী’ পালন করেছে চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ‘ঈভাকা’। ঠিক বিকেল ৬:৩০ মিনিট বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা হল তখন পরিপূর্ণ। আনন্দ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ভৈরবী’ত চতুর্থ বর্ষপূর্তির আনন্দ পার্বণ- ঈভাকা।

চার বছরের এক অনন্য যাত্রার স্মরণে, ভৈরবী’র এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো, “জলবায়ুর পরিবর্তন রুখতে তারুণ্যের ভূমিকা ও সংস্কৃতির প্রভাব,”

প্রতিবছর বাংলা স্বরবর্ণের একেকটি অক্ষর দিয়ে আয়োজনের নামকরণ করে ভৈরবী। অভ্র, আরণ্যক ও ইরশাদের পর ভৈরবী’র চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর নাম দেয়া হয়েছে ‘ঈভাকা’। ঈভাকা শব্দের অর্থ ধরিত্রী রক্ষাকারী । লোকসংস্কৃতি এবং মাটির টানে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান নিয়ে আয়োজিত হয়েছে ভৈরবীর চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

‘ঈভাকা’ আয়োজনের গীতরঙ্গ পরিবেশনায় অংশ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ড্রামা ট্রুপস এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনাল’স কালচারাল ফোরাম। সঙ্গীত পরিবেশনায় অংশ নিয়েছেন লোকসংগীত শিল্পী এবং বর্তমানে অনলাইনের তুমুল জনপ্রিয় মুখ এনামুল হক। ‘ঈভাকা’ আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ ভৈরবী’র প্রতিষ্ঠাতা এবং কার্য-নির্বাহী প্রধান ইলিয়াস নবী ফয়সালের নির্দেশনায় ভৈরবী গীতরঙ্গ দলের বিশেষ পরিবেশনা ‘মৃত্তিকা’। এছাড়া মাইজভান্ডারি গান ও ভাওয়াইয়া নৃত্য’র ছন্দে মুগ্ধ হয়েছে সবাই।

অনুষ্ঠানে দেশের স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ শুভানুধ্যায়ী, কলাকুশলী উপস্থিত ছিলেন।

ইলিয়াস নবী ফয়সাল (প্রতিষ্ঠাতা ও কার্য নির্বাহি প্রধান) বলেছেন, “ভৈরবী’র প্রতিষ্ঠিত করার পেছনের প্রধান লক্ষ্য ছিলো দেশীয় সংস্কৃতির প্রচার এবং প্রসার। আমরা সেই উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছি অবিরাম। পরিবেশ এবং চারপাশের প্রতি আমাদের সকলের আলাদা করে দায়িত্ব আছে,সেই দায়িত্ববোধের জায়গা আমরা কেউ এড়াতে পারি না।
তিনি আরো জানান ভৈরবী বিশ্বাস করে আমরা সবাই মিলে গড়ে তুলব একটি সবুজ ও সমৃদ্ধ পৃথিবী, যেখানে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বেঁচে থাকবে স্বপ্নের মুক্ত আকাশে।

সেই পরিকল্পনার একটি বাস্তবায়ন আজকের আয়োজন “ঈভাকা”। ভৈরবী সবসময় দেশীয় সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজ করে এবং সামনেও করে যাবে।
ভৈরবীর পথচলা শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত ভৈরবী কাজ করে আসছে সামাজিক বোধের সংস্কারের লক্ষ্যে,যেখানে আমাদের প্রধান এবং একমাত্র হাতিয়ার আমাদের সংস্কৃতি।

এই আয়োজনর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ই জুলাই ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ