ব্যস্ত সময়ে চুলের সহজ যত্ন
চুল নারীর সৌন্দর্যের অর্ধেক সৌন্দর্য বহন করে। চুল প্রতিটা নারীর খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। চুল নারীর শুধু পছন্দ নয় একটা ভালোবাসার জায়গা। চুল নিয়ে সব নারীরাই নানা রকম সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান কিভাবে সহজ উপায় নেওয়া যায় তা অনেকের মাথায় আসে না। তাই ব্যস্ত সময়ে একটু সময় বের করে সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন চুলের যত্ন নেওয়া যায়। যেহেতু সহজ যত্ন সেহেতু নিতে খুব একটা কষ্ট হবে না।
প্রতিদিনের চুলের যত্ন, অবশ্যই প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার চুল আঁচড়াতে হবে। অনেকে বলে থাকেন ঘন ঘন চুল আঁচড়ালে চুলের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। তবে এই ভ্রান্ত ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। তাই প্রতিদিন দুই থেকে তিনবারের বেশি চুল আঁচড়ানো প্রয়োজন নেই। অবশ্যই রাতে ঘুমানোর আগে খুব হালকা করে সিলিকনের রাবার ব্যান্ড দিয়ে চুল বেঁধে ঘুমান। টাইট করে চুল বাধলে চুলের ক্ষতি হতে পারে।
সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলে তেল লাগান। চুলের যত্নে বাজারে অনেক ধরনের তেল পাওয়া যায়। তবে সেই সমস্ত তেল ভালো কিনা তা অবশ্যই জেনেশুনে চুলে লাগানোর চিন্তা-ভাবনা করবেন। সবচেয়ে ভালো চুলে নারিকেল তেল এবং ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে একটু গরম করে চুলের গোড়ায় হালকা ম্যাসাজ করে লাগালে। এতে করে চুলের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। চুল পড়া কমে এবং চুল ঘন ও কালো হয়।
চুলে তেল দেওয়ার পরে আমলকি, পেঁয়াজ ও আদা একটু ছেচে রস বের করে কটন প্যাডের সাহায্যে পুরো চুলের গোড়ায় লাগান। এতে করে চুলের গোড়া বেশ পরিষ্কার থাকবে। চুলে খুশকি হবে না এবং চুল বেশ ঝরঝরে থাকবে। চুল পড়া অনেক অংশ কমে যাবে।
সপ্তাহে একদিন হেয়ার প্যাক লাগানোর চেষ্টা করুন। হেয়ার প্যাক চুলে ম্যাজিকের মত কাজ করে। তবে এখন প্রশ্ন আসতে পারে কি হেয়ার লাগাবেন ? ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে হেয়ার প্যাকটি বানিয়ে নিতে পারেন। একটি ডিম, দুই চামচ টক দই , একটি কলা, কয়েক টুকরা পেঁপে সাথে মেথিগুড়া একত্রে মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। শ্যাম্পু শেষে অবশ্যই কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না। এতে করে চুল পড়া কমবে চুল বেশ ঝলমলে ও উজ্জ্বল হবে।
সারা সপ্তাহে চুলে যেই পরিমাণ ধকল যায় তাই সপ্তাহে একদিন সময় বের করে একটু চুলের যত্ন নেওয়া যায়। চুল খুবই মূল্যবান একটি জিনিস। তাই ব্যস্ত সময়ে, অল্প সময় বের করে চুলের যত্ন নেওয়া আহামরি কঠিন কাজ হবে না।