১৪ই ফেব্রুয়ারি
এখনো শোভন তাঁর মনের কথা মনিকান্তাকে বলে উঠতে পারেনি? শোভন খুব গরীব পরিবারের সন্তান। মনিকান্তার বাবা শ্যাম চরণ মহাশয় ওখানকার গ্রামের নামী জমিদার। শোভন ও মনিকান্তা এখন ওরা পূর্ণ যৌবনা। দুজনে কলেজে পড়াশোনা করছে। শোভন যখনই মনিকান্তার সামনে উপস্থিত হয়, তখন তাঁর মনের ভালোবাসা ডানা মেলে কিছু বলতে চায়
"দুজন দুজনের চোখের দৃষ্টি এখনো বোবা শালিক"।
মনিকান্তা জমিদারের মেয়ে, তা ও মনিকান্তার মন শোভনের জন্য অধীর অপেক্ষায় বসে থাকতো…"কখন শোভন আসবে"? ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন ডে তে শোভন মনিকান্তাকে তাঁর মনের কথা বলবে
"শোভনের মনের ভালোবাসায় শুধু মনিকান্তার রাজত্ব, শোভন গোলাপের মিষ্টি পরশে শোভন মনিকান্তাকে তার ভালোবাসা কথা বলবে"!
হঠাৎ মনিকান্তার বাবা শ্যাম চরণ বাবু মেয়ের কীর্তির কথা জানতে পেরে মনিকান্তাকে রেগে বলে
"তোমাকে আর কলেজে পড়তে হবে না! তুমি আমার মান-সম্মান সব মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছ"!
মনিকান্তা বাবাকে বার বার বলতে চেয়েছে "বাবা শোভন খুব ভালো ছেলে,ওরা গরীব হতে পারে লোভী নয়"! শ্যাম চরণ বাবু কখনই শোভনকে মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। সেদিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন ডে তে শোভন টকটকে লাল গোলাপ নিয়ে মনিকান্তার কাছে গিয়ে তাঁর মনের কথা আকাশ বাতাসে চিৎকার করে ছড়িয়ে দিয়েছিল।কিন্তু অভাগা কপাল সেই মনিকান্তা শোভনকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। সেদিন শোভন অবাক হয়ে শুধু মনিকান্তার দিকে তাকিয়ে ছিল…."হয়তো এই ভালোবাসা মনিকান্তার কাছে অনেকটা কষ্টের, শোভন সেদিন একটা মুচকি হেসে ছিল"! আজ মনিকান্ত কোথায়? শোভন এখনো হয়তো
"সময়ের প্রান্তর জালে ওই দরজার সামনে একটা গোলাপ নিয়ে মনিকান্তার জন্য বহু বছর ধরে ভালোবাসা তপস্যায় আজও চেয়ে আছে শুধু তাঁর অপেক্ষায়"।
মনিকান্তা আজও কঠিন বাস্তবের বেড়াজালে
"এখনো সে শুধু শোভনের ভালোবাসা খোঁজে! যন্ত্রণার অশ্রুতে আজও নামটা মনিকান্তার কাছে শাশ্বত"!