ইউরোপ ভ্রমণে আপনার সেরা গন্তব্য হতে পারে পর্তুগাল
ইউরোপে ভ্রমণের জায়গার অভাব নেই। ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রার বৈচিত্র্যে ইউরোপ সমৃদ্ধ। কিন্তু প্রকৃতির সংমিশ্রণের কথা কি একেবারেই বাদ দেয়া যায়? অবশ্যই না। প্রকৃতির সৌন্দর্য যারা উপভোগ করতে চান, তারা ঘুরে আসতে পারেন পর্তুগাল। কি নেই বৈচিত্র্যময় পর্তুগালে? সাগর, পাহার, নদী, আগ্নেয়গিরি, গুহা, বরফের শহর – সবই আছে এখানে। কিন্তু এত দেশ থাকতে পর্তুগালই বা কেন?
ইউরোপের অন্যান্য দেশের থেকে পর্তুগাল অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা দুর্বল। তবু এই দেশ বেশ শান্তিপূর্ণ। ফলে সহজ শর্তেই এখানে বৈধভাবে ভ্রমণের সুযোগ পাওয়া যাবে। পর্তুগাল মূলত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। তাই এখানকার অধিকাংশ জায়গাতেই আপনাকে ঘুরতে হবে দ্বীপ এলাকায়। সার্ডিন মাছ, রুটি আর অলিভ অয়েলের ঘ্রাণে সকাল শুরু করবেন আর ঘুরতে বের হবেন নানা জায়গায়।
কিন্তু সমগ্র পর্তুগাল তো আর ঘুরে দেখা সম্ভব না। সুযোগ মিললে কয়েকটি বিখ্যাত স্থানেই নাহয় ঘুরে আসা যায়। অন্তত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে এই কটি দ্বীপ একবার হলেও ঘুরে আসা উচিত:
মাদাইরা
অনেকে মাদাইরাকে আটলান্টিকের শিশির জলের বিন্দু বলে ডাকেন। এটি একটি বাগান দ্বীপ। পনেরো শতকে দ্বীপটি পর্তুগালের কলোনি হিসেবে যুক্ত হয়। এই শহর তাদের উৎপাদিত ওয়াইনের জন্যে বিখ্যাত। শহর থেকে বের হয়ে কাঠের গির্জা, ওয়াইন পার্ক, হরে রঙের ফুলের বাগান, আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবেই। দ্বীপটির আশেপাশেই আছে নির্জন সুন্দর বন, নুড়ি পাথরে বিছানো এক সৈকত আর তার ওপাশেই টলটলে নীল জল। আর আপনি যদি ফুটবল প্রেমিক হয়ে থাকেন তাহলে এখানেই পাবেন ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যাদুঘর। রোনালদোর জন্মস্থানে ঘুরে আসলে হয়তো প্রিয় তারকাকে আরেকটু কাছ থেকে জানতে পারবেন।
আর্জোস দ্বীপ
পর্তুগালে সবচেয়ে বড় দ্বীপ আর্জোস। যদিও মূল দ্বীপটি বেশ কিছু ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এখানে এলেই পিকো আইল্যান্ড, ফ্লোরস আইল্যান্ড, সাও মৃগেল আইল্যান্ড, পর্তু সান্তো আইল্যান্ড সহ আরো অনেক দ্বীপ এ ঘুরতে পারবেন। ইউরোপে সম্ভবত এই জায়গার প্রাক্ররতিক নৈসর্গের তুলনা হয়না। বিমান কিংবা জাহাজে ভ্রমণ করে পৌঁছে যাবেন দ্বীপটিতে। তারপর প্রায়া দ্য ভিটুরিয়ার দিকে তাকাবেন। হলুদ উঁচু পাহাড়টি দূর থেকেই আপনার সমীহ আদায় করে নিবে।
ঘুরে আসবেন ফিশিং ভিলেজ আর সমুদ্রসৈকত। সেখান থেকেই আগ্নেয়গিরি ও ডলফিন বা তিমি দেখার নির্দিষ্ট দ্বীপ। মোট কথা আপনার ভ্রমণ ব্যস্তভাবেই কাটবে। হাইকিং এর সুযোগ আছে। পর্তুগালের সবচেয়ে উঁচু দ্বীপ পিকোতে দুই ঘণ্টা হাইকিং করবেন। ঘুরতে যাবেন কলম্বাসের সাবেক বাড়িতে। দেখবেন চমৎকার টাউন হল। বিশেষত পিকোতে সূর্যাস্ত দেখতে যাবেন অবশ্যই। কখন কোথায় কি করবেন – তা বুঝে উঠতেই হিমশিম খেতে হবে এই দ্বীপে ভ্রমণকালে।
ছেড়া দ্য এস্ত্রেলা
এই জায়গায় ঘুরতে গেলে যেতে হবে শীতের মরশুমে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬ হাজার ৫৩৯ ফুট উঁচুতে থাকায় এখানকার তাপমাত্রা বেশ কম। ঠাণ্ডার সময়ে এখানে বরফের আস্তরণে ঢাকা পড়ে সব। তখন চারদিকে শ্বেতশুভ্র মুগ্ধতা।