Skip to content

৪ঠা জুন, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিশুকে ‘না’ বলতে শেখান

'না' বলতে পারা প্রত্যেক মানুষের জীবনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যখন কেউ 'না' বলতে পারে না, তখন তাকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মুখ বন্ধ করে সহ্য করতে হয় অনেক কিছু। তবে, মানুষ সহজে কাউকে 'না' বলতে পারে না।  বিশেষ করে, যারা ছোট থেকে কাউকে 'না' বলতে শেখেনি, তারা বড় হয়ে হঠাৎ করে আর 'না' বলতে পারে না। তাই, ছোট থেকেই 'না' বলা শিখতে হবে। 

 

'না' বলা শেখা প্রয়োজন কেন? 'না' বলতে না পারলে কী আর হবে? এই প্রশ্নগুলো অনেকের মাথায় আসে। কারণ, শিশুরা তো অবুঝ, তাদের 'না' বলা শেখাতে হবে কেন? 

 

একটি শিশু বেড়ে ওঠার সময় যে শিক্ষা পায়, তা সে সারা জীবন সাথে নিয়ে চলে। যেমন, একটি শিশু তার মা-বাবাকে 'মা-বাবা' ডাকবে নাকি 'আম্মু-আব্বু' ডাকবে, 'মম-ড্যাড' বা 'মাম্মি-বাপি' ডাকবে, তা ছোটবেলায় তার কথা শেখার সময়ে শেখানো হয়। আর তার এই শিক্ষাটা তার সাথে সারা জীবন থাকে এবং সে সেই ডাকেই তার মা-বাবাকে ডাকে।

 

তাই, শিশুর শিক্ষার ওপরে তার ভবিষ্যৎ জীবন নির্ভর করে। শিশুর কোনো জিনিস অপছন্দ হচ্ছে কিন্তু তাকে তা জোর করে করানো হচ্ছে। তাকে শেখানো হচ্ছে, তার অপছন্দ হলেও কাজটা করা লাগবে। ফলে দেখা যায়, পরে যখন শিশুর সামনে অবাঞ্ছিত কিছু হয়, সেটিও কিন্তু সহ্য করে নেবে। 

 

মুখ বুঝে সহ্য করে নেওয়া শিশুকে নানা সময় নানা অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে ফেলবে, যা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে আঘাত হানবে। কিন্তু যখন শিশুকে শেখানো হবে, তোমার অপছন্দ হলে তুমি কাজটা করবা না, তখন দেখা যাবে শিশু কাজটি করবে না বা তার মা-বাবা কে জানাবে। এতে করে শিশুর বিকাশও ঠিক হবে, শিশু নিজের মতো করে বেড়েও উঠবে।

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ