রুক্ষ চুলের ঘরোয়া যত্ন
নারীর সৌন্দর্য বাড়াতে চুলের ভূমিকার কোন তুলনা হয় না। সুন্দর চুল যে কোনো নারীকে খুব সহজেই রূপবতী করে তোলে। কিন্তু নিয়মিত যত্নের অভাবে অনেকের চুলই রুক্ষ হয়ে যায়। অনেকে এ সমস্যা সমাধানে বাজারচলতি নানা ধরনের কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করেন। ফলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে পরে। তাই আজকে আপনাদের জানাবো ঘরোয়া উপায়ে রুক্ষ চুলের যত্ন নেওয়ার কিছু টিপস।
পানি
আপনার শরীর ভিতর থেকে আর্দ্র থাকলে চুলও আর্দ্র থাকবে৷ আপনার চুলের গঠনের এক-চতুর্থাংশই পানি। পর্যাপ্ত পানি না খেলে স্বাভাবিকভাবেই তাই চুল রুক্ষ হতে শুরু করে। চুলের ডগা ফাটা আটকাতে চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখা খুব দরকার। চুল আর্দ্র ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে তাই দিনে কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করুন।
ডিম
চুলের রুক্ষতা দূর করতে ডিম দারুণ উপকারী। অপরদিকে অলিভ অয়েল চুলে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই দুই উপাদান দিয়ে তৈরি প্যাক রুক্ষ চুলের জন্য আদর্শ। ১/৪ কাপ আমন্ড অয়েলের সঙ্গে ১টা কাঁচা ডিম ফেটিয়ে নিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণ ভালভাবে মিশে গেলে তা স্ক্যাল্পসহ পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন। ৪০-৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিন।
নারকেল তেল
চুলের রুক্ষতা দূর করার জন্য নারকেল তেলের বিকল নেই। নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করুন চুল ও মাথার ত্বকে। সপ্তাহে কয়েকদিন ব্যবহার করতে পারেন এ তেলের মিশ্রণ। রাতে তেল লাগিয়ে সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কলা
একটি পাকা কলা চটকে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলের আগা থেকে গোরা পর্যন্ত লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা আর্দ্রতায় ভরপুর প্রাকৃতিক উপাদান চুলের স্বাস্থ্য আর জৌলুস বাড়িয়ে তুলতে খুব ভালো কাজ করে।অ্যালোভেরা জেলের সাথে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।ভালো উপকার পাবেন।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোয় রয়েছে ভিটামিন বি ও ই-এর মতো প্রয়োজনীয় উপাদান যা চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভাল। ১টা পাকা অ্যাভোকাডোর বীজ বের করে ক্বাথ বের করে তাতে ১ কাপ টক দই মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে ৪০-৪৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন।