৩০ শতাংশের বেশি ঋণ পাবে নারী উদ্যোক্তারা
প্রায় দেড় বছর ধরে আমরা বাস করছি এক মহামারি পরিস্থিতির মধ্যে। করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি এক প্রকার সংগ্রামের মাধ্যমেই আমাদের বেঁচে থাকতে হচ্ছে। এই করোনায় অর্থনীতিতে নেমেছে এক বিশাল ধ্বস। ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ প্রায় সব শিল্পই বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এইসময়। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অনেকেরই অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মহামারির সময়ে। ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে অনেক নারীকেই গুটিয়ে নিতে হয়েছে উদ্যোক্তার কাজ।
এরই মাঝে করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঋণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন। খুশীর খবর হল এই যে, এই ২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঋণের ৩০ শতাংশেরও বেশি দেওয়া হবে নারী উদ্যোক্তাদের। এই মাসের শেষের দিক থেকেই দেয়া শুরু হবে এই ঋণ।
উদ্যোক্তাদের চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ২০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে। এসএমই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রান্তিক পর্যায়ের বেশি সংখ্যক উদ্যোক্তাকে ঋণের আওতায় আনতে ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৭৫ লাখ থেকে কমিয়ে ৫০ লাখ টাকা নির্ধারণ হবে। উৎপাদন ও সেবা খাতে ৭০ শতাংশ এবং ব্যবসা খাতের উদ্যোক্তাদের ৩০ শতাংশ ঋণ দেওয়া হবে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসা খাতে এই হার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
যেসকল ক্যাটাগরিকে প্রাধান্য দেয়া হবে তারা হলেন: যারা সরকারের প্রথম দফার প্রণোদনার আওতায় ঋণপ্রাপ্ত হননি, অগ্রাধিকারভূক্ত এসএমই সাব-সেক্টর এবং ক্লাস্টারের উদ্যোক্তা, নারী-উদ্যোক্তা, নতুন উদ্যোক্তা অর্থাৎ যারা এখনো ব্যাংক ঋণ পাননি, পশ্চাদপদ ও উপজাতীয় অঞ্চল, শারীরিকভাবে অক্ষম এবং তৃতীয় লিঙ্গের উদ্যোক্তারা।
এসএমই ফাউন্ডেশন এর এই উদ্যোগ নারী উদ্যোক্তাদের করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনেক সাহায্য করবে। নারী উদ্যোক্তাদের নিজ কর্মসংস্থান তৈরিতে উৎসাহ প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই প্রণোদনা ঋণ। সাধারণত দেখা যায় যে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তারা মূলধন নিয়ে কাজ শুরু করলেও একবার ক্ষতির সম্মুখীন হলে পুনরায় ব্যবসায় অর্থ যোগাড় কঠিন হয়ে পড়ে। মূলধনের অভাব, পারিবারিক চাপ, আত্মবিশ্বাসের অভাব এসবের কারণেই তারা মূলত ক্ষতি পুষিয়ে পুনরায় নতুন উদ্যোগ নেয়ার সুযোগ পায়না। এক্ষেত্রে এসএমই ফাউন্ডেশনের এই ঋণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।