নারী ফুটবল লিগের উন্নয়নে পুল প্রথা চালুর উদ্যোগ বাফুফের
নারী ফুটবল লিগে আবাহনী ও মোহামেডানের মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলোকে যুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। প্রতি বছর একটি করপোরেট ক্লাব শক্তিশালী দল গঠন করে শিরোপা নিয়ে যায়, যা লিগের প্রতিযোগিতামূলক মান কমিয়ে দিয়েছে।
এই পরিস্থিতি বদলাতে বাফুফে এবার প্রথমবারের মতো পুল প্রথা চালু করার পরিকল্পনা করছে। ফিফার নির্দেশনা অনুযায়ী, দীর্ঘমেয়াদি লিগ আয়োজনের জন্য ক্লাবগুলো মাসে ১০ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দাবি করেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, নারী ফুটবল লিগ পরিচালনা নিয়ে চাপে পড়তে যাচ্ছে বাফুফে। রোববার বাফুফে ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রিমিয়ার লিগের কয়েকটি ক্লাব যেমন ব্রাদার্স ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম আবাহনী, বাংলাদেশ পুলিশ ও রহমতগঞ্জের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে কিংস, আবাহনী বা মোহামেডানের মতো শীর্ষ ক্লাবের কোনো প্রতিনিধি সভায় যোগ দেননি।
দক্ষিণ এশিয়ায় টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশের নারী ফুটবলের ঘরোয়া লিগের অবস্থান এখনো দুর্বল। বাফুফে উন্নয়নের চেষ্টা করেও তেমন সফল হয়নি। তাই এবার প্রিমিয়ার লিগের কিছু ক্লাব এবং গতবারের লিগে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে।
সভায় খেলোয়াড়দের পুল করার প্রস্তাব উঠে, যা দলগুলোর শক্তি সমান করে প্রতিযোগিতার মান বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগে নারী লিগ সাধারণত এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যেত, যেখানে খেলোয়াড়রা মাত্র সাত-আটটি ম্যাচ খেলতে পারতেন। এবার ফিফার নির্দেশনায় লিগের দৈর্ঘ্য ছয় মাস করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যেখানে কমপক্ষে ৯০টি ম্যাচ আয়োজন করতে হবে।
তবে দীর্ঘমেয়াদি লিগ আয়োজনের জন্য মাসিক আর্থিক সহায়তা ছাড়া এটি বাস্তবায়ন করা কঠিন বলে মনে করছেন ক্লাবগুলো। রহমতগঞ্জের সভাপতি হাজী টিপু সুলতান বলেন, “একটি ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এসেছে, যাতে প্রতি মাসে ক্লাবগুলোকে ১০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। অন্য ক্লাবগুলোরও এতে সমর্থন রয়েছে। আর্থিক সহায়তা না পেলে দীর্ঘমেয়াদি লিগ সম্ভব নয়।”
এদিকে, মতবিনিময় সভায় পেশাদার লিগের সব ক্লাবকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না। মহিলা ফুটবল উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার দাবি করেন, “আমি দেশের শীর্ষ ১০টি ক্লাবকে ডেকেছি। এটি ক্লাবগুলোর নিজস্ব সিদ্ধান্ত তারা অংশ নেবে কিনা।”
তবে মোহামেডান ক্লাব জানিয়েছে, তারা নারী দল গঠনে আগ্রহী, কিন্তু সভায় অংশগ্রহণের কোনো আমন্ত্রণপত্র তারা পায়নি।