সায়মার উদ্যোক্তা হবার স্বপ্নপূরণের গল্প
পেশায় ভেদাভেদের দিকটি এখন আর খুব একটা লক্ষ্য করা যায় না। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সকল পেশায় নিজেদের সফলতা প্রমাণ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘরে বসে অসংখ্য নারী ‘উদ্যোক্তা’ হওয়ার দিকে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
স্বপ্ন তো সবাই দেখে কিন্তু সে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে একটি মানুষকে হতে হয় সাহসী ও পরিশ্রমী। এখনও আমাদের এই সমাজে নারীদের এগিয়ে যেতে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়। কিন্তু নারীরা তাদের প্রমাণ করতে বারবার সেই কঠিন পথ পাড়ি দেন।
পেশায় ভেদাভেদের দিকটি এখন আর খুব একটা লক্ষ্য করা যায় না। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সকল পেশায় নিজেদের সফলতা প্রমাণ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘরে বসে অসংখ্য নারী ‘উদ্যোক্তা’ হওয়ার দিকে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
তেমনি অনলাইনে সফল একজন নারী উদ্যোক্তা নাহিদা আফরোজ সায়মা। তার জন্ম কুমিল্লাতে হলেও ঢাকাতেই বড় হয়ে ওঠা। পেশায় তিনি একজন শিক্ষার্থী। ইডেন মহিলা কলেজের মার্কেটিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী তিনি। করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে অনলাইনেই আচার বিক্রি করে পরিচিতি লাভ করেন নাহিদা।
অনলাইনের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক পেজের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হয়ে উঠেন নাহিদা। Sultana’s Hesel নামক একটি ফেসবুক পেজ-এ বিভিন্ন রকমের আচার বিক্রি করেন তিনি। ঘরোয়া পরিবেশে মানসম্মত ভাবে আচার তৈরি করে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে বেশ জনপ্রিয় তিনি।
নাহিদার এই সফলতার পিছনে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে সমর্থন করেছেন। ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখেছে নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলার। পরিবারের সাহায্যে ও নিজের সততা ও পরিশ্রমে নিজের স্বপ্নের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন টক-ঝাল-মিষ্টি নাহিদা আফরোজ সায়মা।
কম সময়ে এতো সফলতা লাভ করে এখন তার চাওয়া তার এই ব্যবসাকে সারাদেশে জনপ্রিয় ও পরিচিত করে তোলা। তার তৈরি আচার সারাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তার এই লক্ষ্যে তিনি অটুট থাকবে।
সায়মার মতো নারীরা যেনো বারবার প্রমাণ করে, ‘আমরাও ঘুরে দাঁড়াতে পারি’। প্রতিনিয়ত তারা অনুপ্রেরণা জোগান সমাজের সকল নারীদের। বার্তা দেন এগিয়ে যাওয়ার।