Skip to content

১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | মঙ্গলবার | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাশ্রয়ী কেনাকাটার জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য হোপ মার্কেট

  

মিরপুর-১০ এর বি ব্লকের ১১ নম্বর সড়কে অবস্থিত হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পাশে হওয়ায় এর নাম হয়েছে হোপ মার্কেট। প্রায় ১৫ বছর আগে কয়েকটি ফুটপাতের দোকান দিয়ে এর যাত্রা শুরু। স্কুলের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরাই প্রথম ক্রেতা ছিলেন। মানসম্মত পণ্য কম দামে পাওয়া যায় বলে দ্রুতই এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেট্রোরেলের কারণে এর জনপ্রিয়তা বহুগুণ বেড়েছে।  

বর্তমানে শতাধিক স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান নিয়ে গড়ে উঠেছে হোপ মার্কেট। এখানে থ্রি-পিস, কুর্তা, জিনস, জুতা, ব্যাগ থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর জিনিসপত্র পর্যন্ত সবই পাওয়া যায়। বাচ্চাদের আরামদায়ক পোশাকেরও ভালো সংগ্রহ আছে। শীতের আগে শীতের জামাকাপড়ও চলে আসে। কেনাকাটার ফাঁকে স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলোতে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগও রয়েছে।  

কেনাকাটার সম্ভার:

কুর্তা ও কামিজ  
৪০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে সুতি, লিনেন ও জর্জেটের বাহারি কুর্তা ও কামিজ পাওয়া যায়। এছাড়া ২০০ থেকে ৫০০ টাকায় কাফতান, টপ ও লং শার্ট, এবং ১০০ থেকে ২০০ টাকায় ওড়না ও স্কার্ফ কিনতে পারবেন।  

প্যান্ট 
১৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় গ্যাবার্ডিন, জিনস ও ডেনিমের প্যান্ট পাওয়া যায়। আরামদায়ক কার্গো প্যান্টের দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। পালাজ্জো ও পায়জামা কিনতে খরচ হবে ১৫০ থেকে ৫০০ টাকা।  

জুতা 
পোশাকের সঙ্গে মানানসই হিল, স্নিকার্স, স্লিপার পাওয়া যায় ১০০ থেকে ৪০০ টাকায়। রাজস্থানি কারুকাজ করা নাগরা ২০০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।  

ব্যাগ
হাতব্যাগ ও পার্সের দাম ১০০ থেকে ৫০০ টাকা। লম্বা আকৃতির টোটব্যাগ পাওয়া যাবে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়।  

সিরামিকের বাসনকোসন 
১০০ থেকে ২০০ টাকায় কাপ ও মগ, ১০০ টাকার হাফ প্লেট, আর ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় সার্ভিং ডিশ পাওয়া যায়। ছোট থেকে মাঝারি আকারের বাটির দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।  

সাজগোজের জিনিস 
সাজসজ্জার জন্য টিপ, কাজল, আইলাইনার, লিপস্টিক পাওয়া যায় ১০০ টাকায়। ঝুমকা ৫০ থেকে ১৫০ টাকায়, অ্যান্টিক ও পাথরের মালা ১০০ থেকে ২৫০ টাকায় কেনা যাবে।  

মার্কেট সময়সূচি ও কেনাকাটার টিপস  
হোপ মার্কেট সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে ভিড় সবচেয়ে বেশি হয়। ছুটির দিনে এই ভিড় আরও বেড়ে যায়। তাই ভিড় এড়াতে অন্য দিনগুলোতে যাওয়া ভালো। দরদাম করলে এখানে খুব কম দামে ভালো পণ্য কিনে আনা সম্ভব। তবে ভিড়ের কারণে ছোট শিশুদের নিয়ে এলে সাবধান থাকা প্রয়োজন।  

হোপ মার্কেট এখন শুধু মিরপুরবাসীর নয়, সারা ঢাকার সাশ্রয়ী কেনাকাটার একটি প্রধান কেন্দ্র।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ