Skip to content

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বজয়া অনুষ্ঠান: নারীর পথচলায় নতুন উদ্যোগ

দেশে নারীর উন্নয়নকল্পে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নারীরাও তাদের যোগ্যতা, দক্ষতা, মেধা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলছে। এখন সময় নারী-পুরুষের সমান দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন। যদি পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমান মর্যাদা অর্জন করে তবে নিঃসন্দেহে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সূচিত হবে। আর এ লক্ষকে সামনে রেখে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা নারীর উন্নয়নে বিশেষ বিশেষ কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ফিমেল কমিউনিটি ‘পপ অব কালার’-এর উদ্যোগে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত হয়েছে সর্বজয়া অনুষ্ঠান। শুক্রবার (১০ মার্চ) বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের মাল্টিপারপাস হলে দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নারীদের এগিয়ে নিতে সমতন্ত্রের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয় এটি। এতে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন খাতের দেড় শতাধিক নারী। এছাড়া, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পাঁচটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। নারীদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে আয়োজিত হয় মানসিক স্বাস্থ্য সেশন, যেখানে বক্তা হিসেবে ছিলেন লাইফ স্প্রিংয়ের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া আমিন। আজকের রোদসী সেশনে বক্তব্য দেন কামরুনেসা মিরা ও নাফিসা তাসনিম। ঐশানির আলো সেশনে বক্তব্য রাখেন আবির রাজবিন ও পিয়া জান্নাতুল। সাইবার ক্রাইম বিষয়ক সচেতনতা তৈরির সেশনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিশনাল ডেপুটি পুলিশ কমিশনার নাসির উল্লাহ অভি এবং মাহমুদা আফরোজ লাকী। নারীদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে বক্তব্য বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা মুনির হাসান।

নারীর উন্নয়নই দেশের উন্নয়ন তাই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি নারীরা বিভিন্নভাবে দেশের অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করছেন। এবং তাদের মেধা এবং পরিশ্রম দিয়ে নিজ স্থান করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। তবে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি আজও পরিবর্তন হয়নি। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীকে কুক্ষিগত করতে নানাবিধ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তবু নারীদের সচেতন করার ফলে কিছুটা হলেও নারীরা প্রতিবন্ধকতাকে রুখে দিতে সক্ষম হচ্ছে।

নারীদের প্রতি যদি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয় তবে নারীরা বিশ্ব অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। পুরুষেরা যদি পরিবারের সব দায় নারীর ওপর চাপিয়ে না দেয় বরং সহোযোগী হয়, তবে সুন্দর- সুস্থ সমাজ গড়ে উঠবে। আর নারীরাও যদি স্বাবলম্বী হয়, তবে নারীনির্যাতন অনেকাংশে কমে আসবে। তাই নারীকে স্বাধীন, স্বাবলম্বী করে তুলতে সর্বজয়া’র মতো অনুষ্ঠান সফল ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা করি।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ