পোশাকে সিনেমার গল্প
শাড়ি, বাঙালি নারীদের আবেগের জায়গা। নারীর সৌন্দর্য কয়েকশো গুন বৃদ্ধি করতে পারে এই একটি পোশাক৷ তাত, জামদানী, বেনারসি আরও কত ধরনের শাড়ি রয়েছে বাঙালি নারীদের ফ্যাশনে। তবে আজকাল ভিন্নধর্মী শাড়ির দেখাও মিলছে। এই যেমন ধরুন আপনি একটি শাড়ি পরে আছেন আর তাতে বয়ে নিয়ে চলছেন গোটা একটি সিনেমার গল্প। রাস্তায় যে কারও নজর কেঁড়ে নিবে এক পলকেই। শাড়ির মধ্যেই দেখতে পাবেন সিনেমার নাম, সিনেমার চরিত্র গুলো, যেন পুরো সিনেমা আপনার কুঁচির ভাজে। চারটে খানে কথা নয় কিন্তু।
এমন দুর্দান্ত ফ্যাশন নিয়ে কাজ করছে ‘স্বপ্নযাত্রা’। রাজন, প্রিয়াঙ্কা , এবং শুভঙ্কর ফ্যাশনে দেশীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া রাখার উদ্দেশ্যে তারা উদ্যোগ নেন। তখন সময় ২০১৪ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি। সে সময়টাতে মানুষের আজকালকার মতো অনলাইনে সক্রিয়তা ছিলো না। তবুও তারা যাত্রা শুরু করেন অনলাইনে। কাজ শুরু করেন তাঁতের শাড়ি নিয়ে। তখন তেমন সাড়া না মিললেও ২০১৭-১৮ এর দিকে ক্রেতাদের সাড়া মিলেছিল মোটামুটি। তবে লকডাউনের সময় মানুষ যখন অনেকটাই অনলাইন নির্ভর হয়ে যান, তাদের ব্যবসায়ও তখনই বেশি সফলতা আসতে শুরু করে।
তবে পোশাকে সিনেমার গল্প কিংবা দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরার ইচ্ছে জাগে প্রায় ৫ বছর আগে। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। শুরু করেন রিকশা প্রিন্ট দিয়ে। এরপর ধীরে ধীরে নিজস্ব ডিজাইনে পোশাকে সংস্কৃতির ছোঁয়া ও বাংলা সিনেমার গল্প তুলে ধরা শুরু করেন। কখনো সিনেমার নাম নিয়ে, কখনো খ্যাতিমান অভিনেত্রীদের ছবি দিয়ে পোশাককে যেন জীবন্ত করে তুলেন তারা। এখন পর্যন্ত হাওয়া, দামাল, দেশান্তর সিনেমার আদলে শাড়ি, থ্রিপিছ তৈরি করেছেন তারা। বিদ্যা সিনহা মিম, নাজিফা টুষির মত ঢালিউডের হার্টথ্রোব অভিনেত্রীরা বিভিন্ন সময়ে সেজেছেন তাদের পোশাকে।
তাঁতের শাড়ির যেমন চাহিদা আছে, ঠিক তেমনই চাহিদা আছে তাদের নিজস্ব ডিজাইনের করা এই শাড়িগুলোরও। বরংচ বর্তমান সময়ে এই শাড়িগুলোর চাহিদা একটু বেশিই বলা চলে। উদ্যোক্তারাও খুশি এই ধরনের পোশাক তৈরি ও বিক্রি করে। স্বপ্নযাত্রার প্রতিষ্ঠাতা রাজন তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে বলেন, একদিন তাদের নিজস্ব শোরুম তৈরি হবে এবং নিজস্ব ডিজাইনে করা পোশাকের খ্যাতি ছড়িয়ে পরবে এই প্রত্যাশায় কাজ করছেন তারা।