দীপাবলির আলোয় নিভে যাক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা, আর দুর্গা পূজা শেষ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই চলে আসে কালী পূজা, যা শ্যামা পূজা নামেও পরিচিত। আজ ৪ নভেম্বর, হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বড় উৎসব শ্যামা পূজা। শ্যামা পূজা বা কালী পূজার পাশাপাশি আজ দীপাবলিও।
হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাস মতে, শ্যামা দেবী হলেন শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের প্রতীক। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের লালনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ভক্তের জীবনে অবারিত কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে পৃথিবীতে শ্যামা মায়ের আগমন ঘটে। আজ জননীরূপে মহাশক্তিরূপী ত্রিনয়নী দেবী শ্যামা বাঙালির জীবনে আবির্ভূত হবেন।
দীপাবলিতে চারিদিক আলো দিয়ে সাজানো হয়। যাতে কোথাও অন্ধকার না থাকে এবং সকলের জীবনেই আলো ছড়িয়ে পড়ে। সকলের জীবনের অন্ধকার কেটে গিয়ে নতুন এক দিনের সূচনা করে দীপাবলি।
সম্প্রতি বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সূত্রপাত হয় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, যা বাংলাদেশের মতো অসাম্প্রদায়িক দেশে নিয়ে এসেছে সাম্প্রদায়িকতা। গেলো দুর্গা পূজায় কুমিল্লায় মূর্তির পাশে কোরআন শরীফ রাখার মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার, যা কলঙ্কিত করেছিল বাঙালি জাতিকে। দীপাবলির শুভ দিনে সকলের প্রত্যাশা এই যে, অন্ধকারাচ্ছন্ন এই ঘটনাগুলোকে দূরে সরিয়ে এবং সাম্প্রদায়িকতাকে মুছে ফেলে আলো ছড়িয়ে পড়ুক চারিদিকে, আবারও অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়ে উঠুক বাংলাদেশ।