Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলার বিস্ময়কর উপকারিতা 

ঘরে কিংবা বাইরে ক্ষণিকের খিদে মেটাতে অনেকেই কলা খেয়ে থাকেন। অনেকের আবার সকালের নাস্তায় কলা না হলে চলেই না। উৎপাদন, স্বাদ ও সুগন্ধের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ হওয়ায় কলাকে ফলের রানী বলা হয়। কলা সারা বছর পাওয়া যায়। গ্রাম কিংবা শহর সব জায়গাতে পাওয়া যায় বিভিন্ন জাতের কলা। আর এই কলা খাওয়ার যে কত স্বাস্থ্য উপকারিতা, তা রীতিমত বিস্ময়কর। বেশি করে পাকা কলা খাওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

 

 

কিডনি রোগ প্রতিরোধ
কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়া প্রতিরোধ করে কলার পটাসিয়াম। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কলার বিভিন্ন উপাদান কিডনির রোগ প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।  

 

ক্যান্সার প্রতিরোধ
কলা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কলাতে রয়েছে একটি বিশেষ প্রোটিন, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। আর তাই ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশি করে কলা খেতে বলেন।

 

খিঁচুনি প্রতিরোধে
মিনারেলের অভাবে অনেকের দেহের বিভিন্ন অংশে খিঁচুনি হয়ে থাকে। এ খিঁচুনি প্রতিরোধে প্রচুর মিনারেল সমৃদ্ধ কলা খাওয়া যেতে পারে। কলার পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। 

 

বলিষ্ঠ হৃৎপিণ্ড
কলা হৃদরোগ থেকে রক্ষা পেতে সহায়তা করে। এজন্য নিয়মিত কলা খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়া কলা উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধেও কার্যকর।

 

উচ্চ রক্তচাপ কমায়
অতি পাকা কলার মধ্যে উচ্চ পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে এবং কম সোডিয়াম থাকে। নিয়মিত এই কলা খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমতে সাহায্য হয়। স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।

 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও ওজন নিয়ন্ত্রণ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কলা খুবই সহায়তা করে। এতে রয়েছে কয়েক ধরনের ‘রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ’ যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের উন্নতিতে সহায়তা করে। সবুজ বা কাঁচা কলাতে বেশিমাত্রায় রয়েছে এ উপাদানটি। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে স্লিম ফিগার তৈরি করতে সহায়তা করে কলা। মূলত কয়েক ধরনের ফ্যাট দেহে সংরক্ষণ করতে বাধা দেয় কলা। ফলে দেহ থেকে ফ্যাট কমে যায়। 

 

রক্তনালী পরিষ্কার
রক্তনালীতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় কোলেস্টেরলের কারণে। কলাতে রয়েছে ফাইটোস্টেরোলস। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা সীমিত রাখে এবং রক্তনালী পরিষ্কার রেখে সুস্থভাবে বাঁচতে সহায়তা করবে। 

 

স্বাস্থ্যকর পাকস্থলী
পাকস্থলীর সুস্থতার জন্য কলা খুবই কার্যকর খাবার। তাই গ্যাস্টিক আলসারের রোগীদের কলা খাওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি পাকস্থলীর দেয়াল বৃদ্ধি করে। 

 

কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে বেশি পাকা কলা ইন্টারনাল কোষ ও রেডিক্যাল কোষের কারণে হওয়া ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে।

 

শক্তি জোগায়
উচ্চ পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ও সুগার থাকার কারণে বেশি পাকা কলা শরীরে শক্তি জোগাতে কাজ করে। দুটো পাকা কলা টানা ৯০ মিনিট ব্যায়ামের শক্তি জোগায়।

 

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কলার মধ্যে আঁশ থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে উপকারী। এটি হজম ভালো করতেও কার্যকর।

 

উদ্যম যোগায় ও ভালো মুড
কলাতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান। আর এটি উদ্যম যোগাতে সহায়তা করে। কলার সাধারণ কার্বহাইড্রেট সহজে হজম হয় এবং দ্রুত শরীরে উদ্যম আনে। কলাতে রয়েছে ডোপামাইন। একে ‘সুখী হরমোন’ বলা হয়। এছাড়া রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, যা নার্ভাস সিস্টেমকে ইতিবাচক হতে সহায়তা করে।

 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ