বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুখের হাঁ
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের নাম আমরা কমবেশি সবাই শুনেছি। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এমন একটি নথি যেখানে বিশ্বের যাবতীয় রেকর্ডসমূহ থাকে। পুরো বিশ্বে বিভিন্ন বিষয়েই বিভিন্ন ব্যক্তি নাম লিখিয়েছেন এই নথিতে। অনেক অদ্ভুত বিষয়ও দেখা যায় এখানে নথিভুক্ত হতে। আজকে আমরা এমনি ওক অদ্ভুত রেকর্ড সম্পর্কে জানবো।
এমনি এক অদ্ভুত রেকর্ডকারী নারী হল আমেরিকার সামান্থা। সবচেয়ে বড় মুখের হাঁ এর স্বীকৃতিস্বরূপ নাম লিখিয়েছেন এই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এ। হ্যাঁ শুনতে অবাক হলেও এই রেকর্ডও নথিভুক্ত হয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এ। স্বাভাবিকের চেয়ে একটু নয়, বেশ বড়ই তার মুখের হাঁ।
৩১ বছর বয়সী নারী সামান্থা রামসডেল (Samantha Ramsdell)। বাড়ি আমেরিকার কানেকটিকাট অঞ্চলে। তিনি হাঁ করে ২ দশমিক ৫৬ ইঞ্চি পর্যন্ত মুখ ফাঁকা করতে পারেন। মুখের ফাঁকার মধ্যে একটা আস্ত আপেল পুরে ফেলতে পারেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সামান্থা তার বড় আকারের মুখের কারণে বেশ জনপ্রিয়। এই বিশাল মুখের কারণে টিকটকে সামান্থার ১০ লাখের বেশি ফলোয়ার।
তার এই বড় মুখের হা কিন্তু রাতারাতি হয়নি। শিশুকাল থকেই তার মখের হা ছিল অন্যান্য শিশুদের থেকে বড়। তাঁর ছোটবেলার হাসিমুখের ছবি দেখলে ব্যাপারটা সহজে বোঝা যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে সামান্থার মুখের হাঁ আরও বড় হয়েছে। মুখের ফাঁকা মাপতে সামান্থা স্থানীয় দাঁতের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। তার সঙ্গে গিনেস বিশ্ব রেকর্ডের একজন বিচারক ছিলেন। তার উপস্থিতিতেই ড. এলকে চ্যাং ডিজিটাল ক্যালিপারের সাহায্যে সামাস্থার মুখ হাঁ করার পর ঠোঁটের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত মাপ নেন। এরপরই গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে অন্যদের পেছনে ফেলে ঠাঁই করে নেন সামান্থা। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় সনদ।
গিনেসের রেকর্ড বইয়ে নথিভুক্ত তথ্য অনুযায়ী, সামান্থার মুখের মাপ আড়াই ইঞ্চি বা ৬ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার। আড়াআড়িভাবে মাপা হলে তা আরও বেড়ে চার ইঞ্চি বা ১০ সেন্টিমিটারের বেশি হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁর মুখে একসঙ্গে তিনটি ডোনাট অনায়াসে ঢোকানো যায়। তিনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুখের অধিকারিণী। যে কারণে তিনি সবসময় হীনমন্যতায় ভুগেছেন সেটিই তার জন্য সবচেয়ে সেরা অর্জন হয়ে দাঁড়িয়েছে।