করোনা প্রতিরোধে কাপড়ের মাস্ক
করোনাকালে জীবন থেকে যেমন হারিয়ে গেছে অনেক কিছু, তেমনি যোগ করতে হয়েছে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এই যেমন জীবনধারায় ঢুকে পড়েছে ফেসমাস্ক বা মুখোশ। চলতিধারার ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়েই করা হচ্ছে নিত্যব্যবহার্য মাস্কের ডিজাইন। তবে অনেকেরই প্রশ্ন, কেবল কাপড়ের মাস্ক কি দেবে নিরাপত্তা?
যেমন মাস্ক চাই
অন্তত তিন স্তরের কাপড়ের মাস্ক চাই। মাস্ক যেন মাপমতো হয়, অর্থাৎ ‘ফিটিং’ সঠিক হয়। নাকের ওপর বা অন্য দিকে যেন বাতাস চলাচলের মতো ঢিলে না হয় (নাকের দিককার আকৃতি অনুযায়ী ‘নোজ–ওয়্যার’ দেওয়া মাস্ক পরুন)। নিশ্বাসের জন্য গোল ‘ভালভ’ বা ছিদ্রযুক্ত মাস্ক বর্জনীয়। খুব পাতলা কাপড়ের মাস্ক কিন্তু চলবে না। অন্তত এতটা পুরু হতে হবে, যাতে কাপড়টি উজ্জ্বল আলোর সামনে ধরলে তা আলো আটকাতে পারে।
মাস্ক ব্যবহার
মাস্ক পরুন আঁটসাঁটভাবে (তবে দম আটকে হাঁসফাঁস না হয় যেন)। মাথার পেছন দিকে হুক–জাতীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে ‘ফিট’ করলে কানে বাড়তি চাপ পড়ে না, মাস্কও থাকে জায়গামতো। একটা সার্জিক্যাল মাস্ক পরে তার ওপর কাপড়ের মাস্ক পরলে মাস্ক সহজেই ফিট হয়। তবে সার্জিক্যাল মাস্ক না পরেও যদি কাপড়ের মাস্ক ফিট করানো যায়, তাতেও চলবে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা জরুরি
কাপড়ের মাস্ক সাবান-পানি বা ডিটারজেন্ট-পানি দিয়ে প্রতিদিন ধুয়ে ফেলাই স্বাস্থ্যকর। মাস্ক ভিজে গেলে সারা দিনের মধ্যে একাধিকবারও বদলাতে হতে পারে। মাস্ক খোলার পর ধোয়ার আগপর্যন্ত আলাদা প্যাকেটে রাখুন। ভেজা মাস্কের জন্য (মেকআপ প্রভৃতি লেগে গিয়ে ময়লা হয়ে যাওয়া মাস্কের জন্যও) চাই মুখবন্ধ প্লাস্টিকের প্যাকেট, শুকনা মাস্ক রাখা যায় কাগজের প্যাকেটেই। কাপড়ের মাস্ক খোলার ৭২ ঘণ্টা পর (না ধুয়েই) পুনরায় ব্যবহার করলে মাস্ক থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে না। রংচঙের ‘ট্রেন্ডি’ মাস্ক নিয়মিত ধুলে মাস্কের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় বলে কেউ কেউ এভাবে না ধুয়েই মাস্ক পুনরায় ব্যবহার করতে চাইতে পারেন। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, ব্যবহৃত, ভেজা ও ময়লা মাস্ক রেখে দিলে তাতে ছত্রাক জন্মানোর ঝুঁকি থাকে আর মাস্ক ব্যবহারের সময় নিজের ঘাম, লালা ও হাঁচিতে মাস্ক ভিজতেই পারে। তাই রোজকার মাস্ক রোজ (যত দ্রুত সম্ভব) ধুয়ে ফেলাই শ্রেয়।