ঐক্য থেকে সৃষ্ট দেশকে কি বিভাজিত রাখা যায়?
কদিন আগে ফেসবুকে আমি বিশিষ্ট একজনের স্ট্যাটাসে দেখেছিলাম—বাংলায় যার সারমর্ম হলো—বাইডেনকে এখন বিভাজিত আমেরিকাকে যুক্ত করতে নতুন করে কাজ করতে হবে। ট্রাম্প যে বিভাজিত রাষ্ট্র রেখে গেলেন, সেই বিভাজিত রাষ্ট্রের বিভাজিত জনগণ নিয়ে বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণ করলেন। ট্রাম্প যেসব ওলটপালট করে গিয়েছিলেন, আর শপথ গ্রহণের পরপরই বাইডেন সেসব জঞ্জাল শুদ্ধিকরণে হাত দিলেন। কীভাবে ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে বিভাজন থেকে বেরিয়ে এসে কাজ করা যায়, বাইডেন সেই নীতি নিয়েই কাজ করছেন। গত বুধবারই অভিবাসনসংক্রান্ত নতুন একটি বিল কংগ্রেসে পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। যেমন, সাবেক প্রেসিডেন্ট দেশ পিছু গ্রিন কার্ডধারীর সংখ্যা বেঁধে দিতে চেয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব খারিজ করছেন বাইডেন। শুধু অভিবাসন নীতিই নয়, মধ্যপ্রাচ্যসংক্রান্ত নীতি নিয়েও প্রথম থেকেই ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের আমলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমেরিকার টানাপোড়েন শুরু হয়। সেজন্য দায়িত্ব নিয়েই পররাষ্ট্রনীতি ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন নতুন প্রেসিডেন্ট।
আমরা বিপুল বিস্ময়ে গত চার বছরে দেখেছি, যুক্তরাষ্ট্রের স্পিরিটের বিপরীত স্রোতে গা ভাসিয়েছিলেন ট্রাম্প এবং তার সমর্থকরা। অদ্ভুতভাবে দেশটির প্রধান আত্মশক্তিকে অস্বীকার করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভয়াবহ স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয় দিয়েছিলেন। গত চার বছরে তার শত শত দৃষ্টান্ত আছে। শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদিতাকে সামনে ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সৃষ্টির ঐক্য শক্তির বেদিমূলেই আঘাত করেছিলেন। তার সর্বশেষ কুিসত কর্মকাণ্ড আমরা দেখতে পাই গত ৬ জানুয়ারি, যেদিন ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকরা আক্রমণ করে বসে স্বয়ং ক্যাপিটল হিলকে। ট্রাম্পের সমর্থকদের এসব হঠকারী হিংস্র কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে, তারা হয় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস জানে না, অথবা সেই ইতিহাসকে অস্বীকার করতে চায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র গঠনের মূল স্পিরিটের শক্তি এতটাই বেশি যে, শত ট্রাম্প এসে সেই স্রোতের বিপরীতে বেশি দিন সাঁতার কাটতে পারবেন না। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র গঠনের ইতিহাস আমাদের জানা দরকার।
ভুলে গেলে চলবে না, যেই শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী এখন যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে চিহ্নিত, তাদের ইতিহাসও কিন্তু অভিবাসনেরই ইতিহাস। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশটিতে অভিবাসন কেবল বৃদ্ধি পেয়েছে, তা নয়; এটি সম্পূর্ণভাবেই ‘অভিবাসীদের দেশ’। এজন্য একে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘মেল্টিং পট’ হিসেবে। কেমন সেই মেল্টিং পটের বৈশিষ্ট্য, সেটি বোঝার আগে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্র হয়ে ওঠার দিকে দৃষ্টি দিতে পারি।
গত দুই শতাব্দী ধরে নানা বৈচিত্র্য ও অনৈক্য অতিক্রম করেই যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছে, যা দেশটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী ও উন্নত দেশে পরিণত করেছে। এর মূলে রয়েছে দেশটির অসাধারণ ঐক্য এবং শিল্পায়ন। কিন্তু কীভাবে শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের আগমন? এজন্য আমাদের ইতিহাস পাঠ অতি জরুরি। প্রথম অভিবাসনের যাত্রাটি শুরু হয়েছিল ইংরেজদের মাধ্যমে। মূলত ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতা রক্ষার্থে ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমসের সময় একদল ইংরেজ হল্যান্ডে এসে বসবাস শুরু করেন। তাদের মধ্যে থেকে একদল ইংরেজ ‘মে ফ্লাওয়ার’ নামক একটি জাহাজে করে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় এসে নতুন বসতি স্থাপন করেন। নতুন এই উপনিবেশকারীরা আমেরিকার ইতিহাসে ‘পিলগ্রিম ফাদার্স’ নামে পরিচিত। এরা সংখ্যায় কিন্তু মাত্র ৯২ জন ছিলেন। এরাই ১৬২০ সালের নভেম্বর মাসে একটি স্বায়ত্তশাসনের রাজনৈতিক চুক্তি অনুযায়ী নতুন প্লিমথ নামক একটি গণতান্ত্রিক জনপদের গোড়াপত্তন করেন। এভাবেই উত্তর আমেরিকায় প্রথম আধুনিক জনপদের সূত্রপাত হয়। ইংল্যান্ড ছাড়াও ১৬৮০ পর্যন্ত হল্যান্ড, সুইডেন, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল, ইতালি প্রভৃতি ইউরোপীয় দেশ থেকে অল্প অল্প করে অভিবাসীরা আমেরিকায় পা রাখেন। এমনিভাবে ১৬৯০ সালের মধ্যে আমেরিকায় অনেকগুলো পৃথক উপনিবেশ স্থাপিত হয়। মনে রাখতে হবে, তখন পর্যন্ত এই মহাদেশে অভিবাসীর সংখ্যা ছিল মাত্র আড়াই লাখ। ইউরোপ থেকে আমেরিকায় আগত অভিবাসীদের ধারা অষ্টাদশ শতাব্দীতে অব্যাহত থাকে। এর ফলে ১৭৭৫ সালে অর্থাত্ যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার সময় যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ২০ লাখ। তবে উপনিবেশকারীদের মধ্যে ইংরেজদের সংখ্যা বেশি থাকায় তারা ইংল্যান্ডেরই স্বাধীনতামূলক আইনগুলো প্রবর্তন করেন। এজন্য আমরা দেখতে পাই, ম্যাগনা কার্টা, হ্যাবিয়াস কর্পাস আইন, বিল অব রাইটস, ইংল্যান্ডের কমন ল প্রভৃতি আইন নতুন অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিজ নিজ উপনিবেশে প্রবর্তন করেন। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একদম শুরু থেকেই সব ধরনের ব্যক্তিস্বাধীনতার ভিত্তিতে এই জনপদগুলো গঠিত হচ্ছিল।
তবে সে সময় কোনো উপনিবেশ তৈরি করতে হলে ব্রিটিশ রাজার কাছ থেকে সনদ নিতে হতো। ইংরেজ রাজার প্রতিনিধি হিসেবে গভর্নর নিযুক্ত থাকতেন। এ ঘটনাটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমেই আমেরিকার স্বাধীনতা ও ঐক্যের সূত্রপাত ঘটে। ঘটনার ঘনঘটায় ১৭৬৩ সালে ইংরেজ-ফরাসি যুদ্ধে ফ্রান্সের পরাজয় ঘটে এবং ফরাসিরা উত্তর আমেরিকা থেকেও বিতাড়িত হয়। কিন্তু ফরাসিদের সঙ্গে সাত বছরের যুদ্ধে ইংরেজ সরকারের বহু দেনা হয়ে যায় এবং এই দেনা শোধের জন্য বেশি বেশি রাজস্ব আদায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উত্তর আমেরিকার উপনিবেশগুলো থেকে। আর এখান থেকেই শুরু হয় ইংল্যান্ডের সঙ্গে আমেরিকার উপনিবেশগুলোর সংঘাত। তারা কেন মানবে ইংল্যান্ডের অন্যায্য অতিরিক্ত রাজস্বের আবদার? আমেরিকায় শুরু হয় বিক্ষোভ ও অসন্তোষ। এই বিক্ষোভকে সমুচিত জবাব দিতে সে সময় ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় জর্জ ও প্রধানমন্ত্রী লর্ড নর্থ কঠোর সিদ্ধান্ত নেন।
খুবই তাত্পর্যপূর্ণ সময় এটি। আমরা দেখতে পাই, ইংল্যান্ডের উচিত শিক্ষা মোকাবিলা করতেই ১৭৭৪ সালে আমেরিকার সব উপনিবেশের প্রতিনিধিরা একটি ‘কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস’ প্রতিষ্ঠা করেন। অর্থাত্ ইংল্যান্ডের থেকে স্বাধীনতা আদায়ের লক্ষ্যে আমেরিকার সব উপনিবেশের মধ্যে ঐক্য গড়ে ওঠে। এই ঐক্য ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এরপর যখন স্বাধীনতাযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে, তখন আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্যের (উপনিবেশের) প্রতিনিধিরা একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা গঠন করেন। অর্থাত্ সবাই মিলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেন। এভাবেই ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়। আর এভাবেই ১৩টি রাষ্ট্র নিয়ে প্রথম কনফেডারেশন বা রাষ্ট্রসমষ্টির ভিত্তি পত্তন করা হয়। এই হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পথচলা। আর এই পথচলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি ছিল অমূল্য সম্পদ।
মনে রাখতে হবে, সাম্যনীতি, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য, প্রাকৃতিক অধিকার, সামাজিক চুক্তি এবং অত্যাচারী সরকারের বিরুদ্ধে জনসাধারণের বিদ্রোহের অবিসংবাদী অধিকার দেয় এই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। এখানে বলা আছে—সব মানুষ সমান। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে কিছু অবিচ্ছেদ্য অধিকার দিয়েছেন, এর মধ্যে রয়েছে জীবন, স্বাধীনতা ও সুখ-সন্ধানের অধিকার। এই অধিকারগুলোকে সুনিশ্চিত করার জন্যই শাসনব্যবস্থা স্থাপিত হয়ে থাকে। যখনই কোনো শাসক বা শাসনযন্ত্র এই সব অধিকার বা উদ্দেশ্যপরিপন্থি হয়ে ওঠে, তখনই জনগণের সেই শাসনযন্ত্রটিকে পরিবর্তন বা উচ্ছেদ করে তার জায়গায় এমন একটি শাসনব্যবস্থা স্থাপনের অধিকার জন্মে। আর এর নৈতিক ভিত্তি হলো জনগণের সুখ ও নিরাপত্তা বিধান করা। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি জনগণের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নেয়। এটাকে এতটাই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যে আমরা দেখতে পাই, এটাকে রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিউ প্রসেস অব ল’ নীতি ঘোষিত হয়েছে। অর্থাত্ যে আইনই হোক না কেন, যদি সুপ্রিম কোর্ট মনে করে যে ঐ আইন সাম্য, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারপরিপন্থি, তাহলে সেই আইন সুপ্রিম কোর্ট অবৈধ বলে ঘোষণা করতে পারে। এভাবেই যুক্তরাষ্ট্র একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত হয় এবং প্রতিনিয়ত নিজেকে জনগণের কল্যাণের স্বার্থে পরিমার্জিত ও সংশোধিত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান এতটাই শক্তিশালী যে, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অন্তর্ভুক্ত রাজ্যেরই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণার সুযোগ নেই। অর্থাত্ যুক্তরাষ্ট্র একটি পারপিচুয়াল ইউনিয়ন বা চিরস্থায়ী সংযুক্তি কৃত রাষ্ট্র। ১৮৬১ থেকে ১৮৬৫ সালে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের মধ্য দিয়েই রক্তের অক্ষরে এই জাতির স্থায়ী ইতিহাস লিখিত হয়ে গেছে।
সত্যিকার অর্থে যুক্তরাষ্ট্র যেন আমাদের এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ। আমাদের ব্রহ্মাণ্ড বৈচিত্র্যময়। যুক্তরাষ্ট্রও তা-ই। বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাই এই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে। অর্থাত্ রাষ্ট্র এক, কিন্তু জাতির মধ্যে রয়েছে বহুত্ব। আর এটাই হলো মেল্টিং পট। মেল্টিং পটের মধ্যে যেমন সব ধাতু গলে একটি নতুন বৈশিষ্ট্যের ধাতুতে রূপান্তরিত হয়, যুক্তরাষ্ট্রও তা-ই। এটাই যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভিত্তি, আত্মশক্তি।
কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়লাভের পর থেকেই এই সারসত্য ভুলে গিয়েছিলেন। শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদের উত্থান, অভিবাসী বিরোধী মনোভাবের বিস্তার এবং সমাজে ধর্ম ও বর্ণের ভিত্তিতে বিভাজন বাড়িয়ে তোলেন ট্রাম্প। বলা যায়, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের আত্মশক্তির শেকড়েই কুঠারাঘাত করে যাচ্ছিলেন। ট্রাম্প কি ভুলে গিয়েছিলেন তার পূর্বপুরুষও আমেরিকায় অভিবাসীই ছিলেন। তার পিতামহ ছিলেন জার্মানির অভিবাসী। এমনকি তার বর্তমান স্ত্রী সরাসরি অভিবাসী, স্লোভেনিয়ায় তার জন্ম। আমরা দেখেছি, যুগে যুগে এমন ট্রাম্পরা আসেন এবং তারা একটা নতুন অস্থিরতা তৈরি করেন। কিন্তু শেষাবধি তাদের বিদায়ঘণ্টা বাজেই এবং সেটা হয় নির্মমভাবে। ইতিহাস এই কঠিন সত্যই প্রকাশ করে যে, শত ট্রাম্পেরও শক্তি নেই যুক্তরাষ্ট্রের ঐক্যের বিপরীতে দীর্ঘদিন সাঁতার কাটার। ট্রাম্পকে ডুবতে হতোই।
যুক্তরাষ্ট্র হলো এ পৃথিবীর সবচাইতে বসবাসোপযুক্ত দেশ। দেশটির আয়তন ৯৮ লাখ ৩৪ হাজার বর্গকিলোমিটার। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা মাত্র ৩৩ কোটি। যুক্তরাষ্ট্র কতটা বড়, তার সহজ উদাহরণ হলো দেশটি আয়তনে বাংলাদেশের চেয়ে ৬৬ গুণ বড়। এদিকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি। আর আয়তন মাত্র ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬০ বর্গকিলোমিটার। চিন্তা করলে মাথা ঘুরে যাবে যে, বাংলাদেশের সমান জনঘনত্ব যুক্তরাষ্ট্রের থাকলে দেশটির জনসংখ্যা হতো ১১০০ কোটি! সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, আমরা কী ভয়ংকর জনঘনত্বের মধ্যে বসবাস করছি!
যুক্তরাষ্ট্র সারা পৃথিবীর মেধা নিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছে এবং এখনো করছে। সুতরাং দেশটির মেল্টিং পটের অবস্থার পরিবর্তন কখনো হবে না। এটাই যুক্তরাষ্ট্রের সমৃদ্ধির মূল সূত্র। ট্রাম্পনীতির সেখানে জায়গা হতে পারে না।
লেখক :সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যা