কোভিডে অসুস্থতাই দিচ্ছে প্রতিরোধের ইঙ্গিত!

কোভিড ১৯ এখন সবথেকে বেশি প্রচলিত শব্দ। গত একবছরেরও বেশি সময় ধরে কোভিডে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। এখনো মানুষ রোজ আক্রান্ত হয়েই চলেছে। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের তোরজোর থাকলেও করোনার প্রধান ঔষুধ বলা চলে শরীরের অ্যান্টিবডি।
যাদের শরীরে অ্যান্ডিবডি বেশি তারা সেরে উঠছেন দ্রুত। আর যাদের তুলনামূলক কম তাদের সেরে উঠতে সময়ও লাগছে বেশি। ডাক্তারদের মতে কিছু লক্ষণ দেখে বুঝে নেওয়া যায় অ্যান্টিবডির পরিমাণ কেমন। যেমন:
জ্বর : যেকোনো সংক্রমণে শরীরে নিজের উত্তাপ বাড়িয়ে দিয়ে সেটা প্রতিরোধের চেষ্টা করে। কোভিডের ক্ষেত্রেও একই। এসময় শরীর যখন উত্তাপ বাড়িয়ে ফেলে তখন তা দ্রুত অ্যন্টিবডি তৈরি করে। এমনকি শরীর অ্যান্টিবডি তৈরির সময়ও শরীরের উত্তাপ বেড়ে যায়৷ অর্থাৎ জ্বর আসে। তাই কোভিড আক্রান্তরা যারা জ্বরে ভুগছে, তাদের অ্যান্টিবডি বেশি বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পেটের সমস্যা: ডায়রিয়া বা পেটের সমস্যা কোভিডের অন্যতম লক্ষণ। এই লক্ষণের বহু ক্ষেত্রেই অর্থ হল শরীরে বেশি পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। পরিসংখ্যান দিয়ে গবেষক দল জানিয়েছেন, কোভিড-আক্রান্তের মধ্যে যারা হাসপাতালে ভর্তি হন, তাদের পেটের সমস্যা সাধারণত বাড়ে না। কিন্তু যারা বাড়িতেই চিকিৎসা করান, তাদের ক্ষেত্রে পেটের সমস্যা বাড়তে পারে। গবেষক দল বলছেন, কোভিডের মধ্যে পেটের সমস্যা থাকলে ধরে নিতে হবে তার শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
ক্ষুধা কমে যাওয়া: যে কোনও ধরনের সংক্রমণেই ক্ষুধা কমে যায়। কোভিডের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। ক্ষুধা কমে যাওয়ার মানেও শরীর দ্রুত হারে অ্যান্টিবডি তৈরি করছে। গবেষণা বলছে, জ্বরের পাশাপাশি যদি কোনো কোভিড-আক্রান্তের ক্ষুধা কমে যায়, তা হলে ধরে নিতে হবে তার শরীরে অ্যান্টিবডি পরিমাণ বাড়ছে।
পেটে ব্যথা: ডায়রিয়া বা পেটের সমস্যার মত পেটে ব্যথাও অ্যন্টিবডি তৈরি লক্ষণ।