এক টুকরো মৌলিক আগুন
একটাও ভার্জিন কবিতা—
অনেক হয়েছে, আর কত!
কী পাবো কবিতা লিখে—নাম যশ খ্যাতি;
কী হবে এসব দিয়ে
এক সেকেন্ড অতিরিক্ত আয়ু পাওয়া না যায়!
যদি তা-ই হয়
শান্তি আর নির্জনতা সারা শরীরে মুড়িয়ে
আরামে ঘুমিয়ে পড়া কত যে সুখের!
প্রেম করবো কিন্তু কেউ
এটা তো হয় না!
আমাকে এ যুগে কেউ মজনু নামে ডাকবে
তাও আমি চাই না;
আমার সহজ কথা—
তোমাকে আমার চাই;
কপালে যা জুটে, জুটুক
না জুটলেও ক্ষতি নেই—
আমার আরাধ্য গন্তব্যে
তারপর
শূন্য থেকে
শূন্য হাতে এসেছি যখন
আবার না হয় শূন্যে চলে যাবো :
এই দিয়ে হবে টা কী!
স্বাদ পাওয়া যায়,
মন্দ না তা, যদি মিলে তোমার হদিস;
কিন্তু সে আশাতে গুড়েবালি
কবিতা আমাকে ছেড়ে চলে গেছে দূরে—
বহু দূরে—লুসাকায়।
এইসব ভাবতে ভাবতে কাল রাতে
সুন্দরের তাড়া ও তাড়না খেয়ে
কিছুটা উলঙ্গ আমি তার পাশে শুয়ে পড়ি—
শুয়ে থাকতে থাকতে
কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি, টেরও পাইনি।
শুনতে মনে হবে গল্প, কিন্তু গল্প নয়
সম্পূর্ণ নিরাভরণা এক নারী আমাকে প্রস্তাব দেয়—
আমরা দু'জন
গোপনে আবাদ করি নতুন বসতি;
কাটাতে কাটাতে
ঘুম ভাঙলে দরজা খুলে দেখি
সে এসে হাজির—হাতে গোপন কাবিননামা;
এই সেরেছে!
আর বুঝি ইজ্জত বাঁচে না!
সে চিৎকার করে বলছে,
তুমি কবি—ভণ্ড প্রতারক ;
কী কৌশলে হাতিয়ে এখন বলছো
আমাকে ঘরেই তুলবে না,
যে মধু খাবার তা যখন শেষ—
প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে, না?
এখন নতুন করে স্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই—
তা বললেই হলো!
কোথায় পালাবে কবি—
কবিতার স্বৈরিণী থাবায়
তোমার সংসার ধর্ম সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে
সে তোমাকে এবার গোপন নয়
প্রকাশ্য চুম্বন দিয়ে আগুনে পোড়াবে
তুমি পুড়বে—তোমাকে পুড়তেই হবে
পুড়ে গেছে
তোমার সংসার
তোমার নিখিল
তবু সে পুড়বে না কোনোদিন
কেউ তাকে পোড়াতে পারে না
পোড়াতে পারেনি:
যেখানে কবিতা নিজে
নিজেরই আগুন—
ভালোবেসে আমি বলি,
আমার আত্মার
এক টুকরো মৌলিক আগুন।