ঘরে বসেই করতে পারেন যোগাসন
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্দি বিশ্ববাসী। এই সময় প্রায় সবার মধ্যেই কাজ করছে এক ধরনের বিষণ্ণতা ও একঘেয়েমি । যারা নিয়মিত ব্যায়াম করতেন কিংবা দিনের কোনো একটা সময় একটু হাঁটতেন, তাদের কেউই বের হতে পারছেন না বাড়ি থেকে। আর বাকিরাও একটু ঝিমিয়ে গেছেন এই দীর্ঘ সময়ের একঘেয়েমিতে। ঘরবন্দি এই সময়টাতে শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে তাই ঘরে বসেই করতে পারেন যোগাসন। শারীরিক কসরতের মতো ঘাম ঝড়ালেও এতে শরীর ও মন দুটোই ভালো রাখে এই পদ্ধতি।
নিয়মিত ব্যায়াম ছাড়াও আজকাল জনপ্রিয় হয়ে উঠছে যোগাসন। অনেকেই একে শারীরিক কসরত বলে ভুল করে থাকেন। তবে যোগের শারীরিক দিক বা আসন হল যোগাভ্যাসের একটা ছোট দিক মাত্র। তার থেকেও বড় কথা হল এই আসনগুলো সাধারণ শারীরিক কসরত কিংবা ব্যায়ামের থেকে অভ্যাস ও ফল দুই দিক থেকেই অনেকটা আলাদা। যোগাসনে ধীর গতিতে নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার ফলে স্নায়ু তন্ত্রের ওপর এক মনোরম প্রভাব দেখা যায়। ফলে শরীরে বিশ্রামের অনুভূতি হয়। ব্যায়ামের ফলে শরীরে ল্যাক্টিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়, যা শরীরকে ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত করে তোলে। এখানেই যোগ ও ব্যায়াম মূলত একে অন্যের থেকে আলাদা।
মাংসপেশি
যোগের ক্ষেত্রে শরীরের প্রত্যেকটি হাড়ের ওপর সমানভাবে মাংসপেশি গঠিত হয়, তাই শরীরের নমনীয়তা বাড়ে। যোগে শারীরিক শক্তি অনেক কম খরচ হয়।
হার্ট
যোগাসনের সময় শরীর অনেক শিথিল (রিল্যাক্সড) থাকে ও শরীরে রক্তের প্রয়োজনীয়তাটা কমে যায়। এতে হার্টের ওপর চাপ অনেকটা কমে যায়।
শ্বাসতন্ত্র
যোগাভ্যাসের সময় শরীর শিথিল অবস্থাতে থাকে বা বিশ্রাম নেয়, কাজেই শ্বাসতন্ত্রে কাজের চাপও কম থাকে।
প্রতিষেধক তন্ত্র
যোগাসন শরীরের প্রতিষেধক কোষগুলোর পরিমাণ ও কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে, যোগ প্রতিষেধকতন্ত্রকে ভেতর থেকে শক্তির যোগান দেয়।
স্ট্রেস লেভেল
যোগ শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এই কর্টিসল্ হরমোন কোলেস্টেরল থেকে তৈরি হয় এবং এই হরমোন স্ট্রেস বাড়ায়।
এক কথায় যোগের সাহায্যে সাধারণত ব্যায়ামের অধিকাংশ উপকারিতাই পাওয়া যায়। তাই বলা হয়, ব্যায়ামের উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও যোগ মানুষকে শান্তি, আনন্দ ও সুখ দেয়।