ওষুধিগুণে ভরপুর শীতের সরিষা ফুল, যেভাবে খাবেন
শীতকাল আসে নান্দনিক সব উপভোগ্য দৃশ্য নিয়ে। শীতের মাধুর্য বাড়িয়ে তুলতে রং ও প্রাণের স্পন্দন নিয়ে সৌন্দর্যে যুক্ত হয় সরিষা ফুল। দিগন্ত বিস্তৃত হলুদ সরিষা ফুলে সেজে উঠে প্রকৃতি। এই সরিষা থেকেই আসে তেল। এছাড়া এই সরিষার শাক খেয়ে থাকেন অনেকেই।
তবে সরিষা ফুল সরাসরি খাওয়ার প্রচলন খুব একটা নেই। তবে এটি দিয়ে কিছু খাবার তৈরি করা যেতে পারে। সর্দি, ঠাণ্ডায় এটি বেশ উপকারে আসে। এ ছাড়া আর কী উপকারে আসে এই শাক, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ সমৃদ্ধ
সরিষা ফুলে কিছু পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান থাকতে পারে, যা শরীরের ফ্রি-র্যাডিক্যাল কমাতে সাহায্য করতে পারে।
পাচনতন্ত্রের জন্য সহায়ক
সরিষা ফুলে কিছু পরিমাণে ফাইবার থাকতে পারেযা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করতে পারে।
ভিটামিন ও মিনারেলের উৎস
এটি নিয়ে যদিও সরাসরি গবেষণা কম তবে সরিষার গাছের অন্যান্য অংশের মতো ফুলেও কিছু ভিটামিন (ভিটামিন সি) ও খনিজ (ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়াম) থাকতে পারে।
প্রাকৃতিক ঔষধি গুণ
ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতিতে সরিষা ফুলকে হালকা জ্বর, সর্দি বা কাশি কমানোর জন্য ব্যবহার করার তথ্য পাওয়া যায়।
ডিটক্সিফিকেশন
সরিষা ফুলের উপাদানগুলো শরীরের টক্সিন বের করতে সহায়ক হতে পারে।
যেভাবে খাবেন
সরিষা ফুল ভাজি
সরিষা ফুল ধুয়ে হালকা তেলে ভাজা যায়। এতে পেঁয়াজ, রসুন, শুকনা মরিচ ও মশলা যোগ করলে এটি সহজে ভাত বা রুটির সঙ্গে খাওয়া যায়।
সরিষা ফুলের পাকোড়া
সরিষা ফুল ধুয়ে ময়দা, বেসন, লবন, মরিচের গুঁড়া ও পানি দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণ থেকে ছোট পাকোড়ার মতো তৈরি করে গরম তেলে ভেজে নিন।
গরম চায়ের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন।
সরিষা ফুলের ভর্তা
সরিষা ফুল ধুয়ে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ ফুলের সঙ্গে সরিষার তেল, কাঁচা মরিচ, লবণ ও পেঁয়াজ মিশিয়ে একটি মসৃণ ভর্তা তৈরি করুন। ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
সবজির সঙ্গে মিশিয়ে রান্না
সরিষা ফুল শীতকালীন অন্যান্য সবজির (আলু, বেগুন বা শিম) সঙ্গে মিশিয়ে ভাজি বা ঝোল রান্নায় ব্যবহার করা যায়। এটি রান্নার স্বাদ ও পুষ্টি বাড়ায়।
মশলাদার স্যুপ
সরিষা ফুল দিয়ে মশলাদার স্যুপ বা সবজি স্টু তৈরি করা যায়। এতে হলুদ, আদা, রসুন, ও অন্যান্য মসলা ব্যবহার করলে স্বাদ আরো উন্নত হয়।
সতর্কতা
রাসায়নিক বা কীটনাশকমুক্ত সরিষা ফুল ব্যবহার করুন। ফুলটি ভালোভাবে ধুয়ে নিন, যাতে মাটি বা ধুলো না থাকে। নতুন কিছু খাওয়ার আগে শরীরের অ্যালার্জি বা প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সতর্ক থাকুন।