আপনার ত্বক কি তৈলাক্ত?
গাছকে পর্যাপ্ত পানিতে, আলো দিলে গাছ যেমন সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠে একইভাবে যত্ন নিলে ত্বক সুন্দর ও কোমল হয়। মানবদেহের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অঙ্গ হলো ত্বক। সূর্যের তাপ, ধুলোবালি, ঘাম, ঘুমের অভাব, অপরিমিত খাদ্যাভ্যাস, দুশ্চিন্তা ত্বকের বাহ্যিক সৌন্দর্যে প্রভাব ফেলে। দৈনন্দিন জীবনে ত্বক ভালো রাখার জন্য যত্ন নেওয়া উচিত।
সারাদিনের ব্যস্ততায় অনেকে পার্লার যাওয়ার সময়-সুযোগ পায় না। তাই পার্লারে না গিয়ে ঘরে বসেই খুব সহজে ঘরেই ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। বিশেষ করে গরমে ত্বকে নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়। আর যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তাদের তো ভোগান্তির শেষ নেই।
ত্বক পরিষ্কার রাখা
তৈলাক্ত ত্বকে ধুলো-ময়লা সহজে আটকে যায়, ফলে ব্রণ হয়। তৈলাক্ত ত্বক সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। ঘাম ও মুখের তৈলাক্তভাবের কারণে অস্বস্তি হয়। তাই নিজের সুবিধামতো বারবার মুখ ধুয়ে নিতে হবে। নিজের ত্বক অনুযায়ী উপাদান সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে।
সাইট্রাস ফল
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সাইট্রাস ফল যেমন, লেবু, মাল্টা, কমলা, জাম্বুরা অনেক উপকারী। এগুলো ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয় কিন্তু শুষ্ক করে না। এক কাপ পানিতে একটি লেবুর রস নিয়ে তা দিয়ে বরফ তৈরি করুন। এটি ত্বকে ম্যাসাজ করলে ত্বকে তৈলাক্ত ভাব কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল করতেও সাহায্য করে।
শশা
ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর করতে শশার রসের সঙ্গে স্ক্রাব হিসেবে চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। যাদের মধুতে অ্যালার্জি নেই, তারা সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। সপ্তাহে দুই দিন এই প্যাক ব্যবহার করুন। তাছাড়া ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয়ে যাবে।
সঠিক জীবনযাত্রা
লাবণ্য ধরে রাখতে ত্বকের যত্নের সঙ্গে প্রয়োজন সঠিক জীবনযাত্রা। তাই আমাদের সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। মাছ ও শাকসবজি বেশি খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
অনন্যা/জেএজে