ত্বকের যত্নে রসুন
সুপার ফুডের তালিকায় থাকা রসুন পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং প্রতি দিনের খাবারে ব্যবহৃত হয়। তরকারিতে ব্যবহারের পাশাপাশি রসুন ভর্তা কিংবা রসুনের কোয়া কাঁচা খাওয়া যায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে রসুন বেশ উপকারী। রসুন যে শুধু খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয় তা নয় ত্বকের যত্নেও রসুন ব্যবহার করা হয়। চলুন তাহলে জেনে নেই ত্বকের যত্নে রসুন এর ব্যবহার।
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যায় ভুগতে হয় তা হলো ব্রণের সমস্যা। ছেলে মেয়ে সকলেরই ব্রণের সমস্যা হয়ে থাকে। এই সমস্যা দূর করতে রসুন কার্যকর ভূমিকা পালন করে। রসুনের কোয়া নিয়ে তা ছেঁচে রস বের করে নিয়ে মুখের ত্বকে ৫ মিনিট লাগান। এরপর ধুয়ে ফেলুন। একটানা কয়েক দিন ব্যবহার করলে মুখের লালচে ভাব ও ব্রণের সংক্রমণ দূর হয়ে যায়।
লোমকূপে ময়লা জমতে জমতে লোমকূপ বড় হয়ে যায়। এ লোমকূপে ময়লা জমে থাকলে ব্রণের উপদ্রব বেশি হয় এবং কালো দাগও যায় না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রসুন বেশ উপকারী। একটি রসুন নিয়ে এর সাথে অর্ধেক টমেটো নিয়ে পেস্ট করে নিন। এই পেস্ট মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে ১০ মিনিট পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ধোয়ার পর দেখবেন ত্বক অনেক পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে এবং লোমকূপও ছোট হয়ে গিয়েছে।
এলার্জি সমস্যা আজকাল সকলেরই থাকে। কারো খাবারে এলার্জি তো কারো ধুলাবালি তে। অনেকের আবার কাপড়েও এলার্জি থাকে। এই এলার্জির জন্য শরীরে লাল দাগ বা ফুস্কুড়ি দেখা যায়। এই সমস্যা দূর করতে রসুন বেশ উপকারী হতে পারে। যেসব জায়গায় লাল দাগ বা ফুস্কুড়ি দেখা যায় সেখানে রসুন বেটে রস করে ম্যাসাজ করে লাগাতে হবে। এতে করে জ্বালাপোড়া কমে যাবে।
এমন অনেকে আছেন যাদের বয়স কম হওয়া সত্ত্বেও মুখে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। নিয়মিত রসুন এর কোয়া চিবিয়ে খেলে অতিরিক্ত বয়সের ছাপ ও ওজন কমে যাবে।
খাদ্য তালিকার পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও রসুন বেশ কার্যকর ও উপকারী ভূমিকা পালন করে। তাই ত্বকের যত্নে রসুন এর ব্যবহার করা যায়।