Skip to content

২রা মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুপ্রিয়া রানীরা হোক নারীর অনুপ্রেরণা

খাদিজা আক্তার

পুরুষতান্ত্রিক সমাজে চার দেওয়ালের বাইরে বের হওয়া নারীর জন্য রীতিমতো একধরনের যুদ্ধ! এই জীবনযুদ্ধে অংশ নিয়ে নারী তার আপন অস্তিত্বকে নির্ণয় করে এবং একটি সময় জ্ঞানে-গুণে ও দক্ষতায় নারী আকাশচুম্বী সাফল্য অর্জন করে। হার-জিতের পৃথিবীতে নারী প্রতিনিয়তই প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়। কিন্তু সেই প্রতিবন্ধকতার বাধা পেরিয়ে যখন নারী কোনোকিছু অর্জন করে, তখন তা নারীর গর্বের প্রতীক হয়ে ওঠে।

নারীরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে সুযোগ-সুবিধা ও কিঞ্চিৎ ছাড় পেলেই তারা বিশ্বের বুকে নিজের জয়মাল্য সূচনা করতে সক্ষম হয়। এই মায়াভরা পৃথিবীতে মানবিক অস্তিত্বের অভাব হলেও নারী তার কমলতা ও যুদ্ধময় জীবন নিয়ে নতুনভাবে তৈরি করে জগৎ-সংসার!

নারী তার মনোবল, ধৈর্যশক্তির মাধ্যমে সাফল্য আনতে সক্ষম। সব হিংস্রতাকে ডিঙিয়ে নারী তার সাফল্যকে ছুঁতে সক্ষম। যে নারী ঘরের বাইরে বের হতেই হাজারও জবাবদিহিতা ও কঠিনপ্রশ্নের সম্মুখীন হয়; সেই নারীই আজ খেলার মাঠের রেফারি। সেই নারীরাই আজ আইসিসির ডেভেলপমেন্ট আম্পায়ার।
গণমাধ্যম বরাত জানা যায়, আইসিসি’র ডেভেলপমেন্ট আম্পায়ার প্যানেলে যুক্ত হচ্ছেন বাংলাদেশের সাথিরা জাকির জেসি, রোকেয়া সুলতানা, ডলি রানি সরকার ও চম্পা চাকমা। 

এছাড়া সুপ্রিয়া রানী দাসকে আইসিসির ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলের ম্যাচ রেফারি হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে। শনিবার আইসিসি এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। 

আইসিসি জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পর্যালোচনা করে আনন্দের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, সাথিরা জাকির জেসি, রোকেয়া সুলতানা, ডলি রানী সরকার ও চম্পা চাকমাকে আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে নিযুক্ত করা হবে। 

একই বার্তায় সুপ্রিয়া রানী দাসকে আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেলের ম্যাচ রেফারি করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এই নিয়োগ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং আইসিসির অনলাইন রেকর্ডে আপডেট করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের নারীদের জন্য অত্যন্ত সুখবর। নারীরা যেখানে ঘরের বাইরে বের হতেই বাধা পায় সেখানে সুপ্রিয়া রানী দাস, সাথিরা জাকির জেসি, রোকেয়া, ডলি রানীদের অবদান স্মরণীয়। নারীরা আজ আর লোক-লজ্জার ভয়ে নিজেদের গুটিয়ে রাখছে না এটাই সুখের। নারী তার আপন অস্তিত্বকে খুঁজে নিতে আজ বদ্ধ পরিকর। পরিবার ও সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এই নারীরা শিখাচ্ছেন, যাতে নিজের বলে দিনশেষে নারীদের কিছু থাকে। তাদের পরিচয়, স্বাবলম্বিতা একান্ত নারীর। সেখানে আর কারো কোনোই অধিকার নেই। ফলে বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে এই নারীদের অর্জন আপামর নারী সমাজকে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করতে ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

এভাবেই পরিবার-সমাজের প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে নারী হয়ে উঠুক অনুপ্রেরণাদাত্রী। একজন নারীর জয় শুধু সেই নারীরই বিজয় নয় বরং সব নারীর নিজেকে খুঁজে ফেরার আহ্বান। পেশা-শখ-আহ্লাদের খাতা গুটিকয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকুক। মেধা-মস্তিষ্কের প্রসারতা বাড়ুক। নারী জ্বলে উঠুক আপন আলোর বার্তা নিয়ে।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ