সাদাকালোর মায়ায়
ফেব্রুয়ারি মাস ভাষার মাস। অনেক ত্যাগের পরে মাতৃভাষা বাংলাকে অর্জন করতে পেরেছি। বিষয়টা আনন্দের পাশাপাশি বেশ দুঃখের ও। হারাতে হয়েছে লাখো শহীদের প্রাণ। তাই এই দিনকে স্মরণে রেখে এই দিবসটি উদযাপন করা হয়।
প্রতিটি দিবসে কিংবা প্রতিটি উৎসবে কিছু সাজের ধরন- ধারণ রয়েছে। উৎসবের আমেজ, ভারসাম্য, অনুভূতি উৎসবের ধরন সবকিছু মিলিয়েই সাজ পোশাক নির্ধারণ করা উচিত। কারণ একজন মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যই মাধ্যমেই উৎসবের ধ্যান-ধারণা উৎসবের মাহাত্ম্য বোঝা যায়।
একুশে ফেব্রুয়ারি কথাটা শুনলেই চোখে সাদা-কালো রংটাই সবার প্রথম ভেসে ওঠে। একুশে ফেব্রুয়ারির সাজ হতে হবে অবশ্যই হালকা, স্নিগ্ধ, স্বচ্ছ ও সুন্দর।
সাজের নিয়ম ও ধরণ
- প্রথমত ত্বক ভালোমতো পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- একটি ভালো মানের মশ্চারাইজার মেখে, ত্বককে ময়শ্চার করতে হবে।
*মেকাপের আগে অবশ্যই ত্বকে প্রাইমার লাগাতে হবে।
*একুশে ফেব্রুয়ারি সাজ এর ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন টা এড়িয়ে চলাই ভালো সেক্ষেত্রে যেকোন ধরনের বিবি-ক্রিম অথবা কনসিলার দিয়ে সম্পূর্ণ মেকআপটি করা যেতে পারে। তবে কেউ যদি চায় সে অবশ্যই তার পছন্দমত হালকা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারে। - সম্পূর্ণ মেকাপটি খুব ভালো করে পাউডার দিয়ে সেট করে নিতে হবে।
- এবার পালা চোখের সাজের । অবশ্যই এই দিনে চোখে কাজল পরা যেন বাদ না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেকোনো সাজের ক্ষেত্রেই কাজল সৌন্দর্য বাড়ায় দ্বিগুণ। চোখকে হয়ে উঠে আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর।
- এছাড়াও কাজল যদি কেউ মনে করে পড়বে না সেক্ষেত্রে চোখে খুব টানা টানা করে আইলাইনার দিতে পারেন।
- চোখের পাপড়িতে মশকরা দিতে একদমই ভোলা যাবে না।
- খুব বেশি গাঢ় আইশ্যাডো না দেওয়াই ভালো। চোখের রঙের সাথে মিল রেখে আইশ্যাডোর রং বাছাই করে নিতে পারেন।
- খুব হালকা রঙের একটি ব্রাশ দিয়ে নিন। কারণ সম্পূর্ণ সাজটি যেহেতু খুব হালকাভাবে করা হয়েছে তাই ব্লাশের রংটা গাঢ় হলে মানানসই হবে না। তাই সাজের সাথে মিল রেখে একটু হালকা রঙের ব্লাশ দিন।
- নিজের পছন্দসই কোন রঙের লিপস্টিক ঠোঁটে দিয়ে নিন।
চুলের সাজ
কীভাবে চুল বাঁধবেন? – এইটা সব নারীদের একটা ভাবনা। পোশাক ও সাজের সাথে মানানসই চুলের সাজ সম্পূর্ণ রূপকে আরো আকর্ষনীয় করে তুলে। দেশীয় উৎসবের সাথে চুলে খোঁপা বিষয়টাই মনোমুগ্ধকর। ছোট – বড় – মাঝারি যেকোনো চুলের জন্য খোঁপা অন্যতম। এছাড়াও চুলের ধরুন ধরুন নির্ভর করবে ব্যক্তিবিশেষ। কেউ বা বেনী করে খুশি, কেউবা চুল ছেড়ে, কেউবা চুলগুলো হালকা কার্লি করে।
একুশে ফেব্রুয়ারির সাজের অনুষঙ্গ হিসেবে টিপের রয়েছে অগ্রণী ভূমিকা। এখন বাজারে নানান ধাঁচের টিপ পাওয়া যায়। কাঠের টিপ, বিভিন্ন ধরনের অক্ষরের টিপ, অর্ধচাঁদ, গোল, চতুর্ভুজ, লম্বাটে, ত্রিভুজ নানান ধরনের টিপ এখন পাওয়া যায়। এছাড়াও টিপ সাজের সৌন্দর্য বাড়ায় দ্বিগুণ। একুশে ফেব্রুয়ারি সাজ এর সাথে যদি টিপ না পড়া হয় সম্পূর্ণ সাজটি মনে হবে অসম্পূর্ণ।
এছাড়াও এখন ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে। সাজগোজের ক্ষেত্রে একটু চিন্তা করে নিন। খুব ভারী সাজ এখন না দেওয়াই ভালো। অন্য দিক থেকে এখন যে কোন পণ্য ব্যবহারে একটু পরিবর্তন আসবে। কারণ শীত চলে গিয়ে বসন্ত চলছে। তাই সাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই ঋতুর কথা চিন্তা করতে হবে। যেকোন সাজে যেন নিজেকে স্বস্তির মধ্যে রাখে। সাজ তখনই অধিক সুন্দর হয়ে ওঠে যখন নিজে সেই কাজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। পাশাপাশি সাজে যেন থাকে উৎসবের আমেজ।