Skip to content

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পোশাকে বিজয়ের গৌরব

বিজয় দিবস বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য গৌরবময় দিন। এই দিনে পোশাকেও থাকবে বিজয়ের ভাব। বিজয় দিবসের পোশাকের রং হিসেবে লাল ও সবুজে পরিচিত সে রূপেই ফ্যাশন হাউজ কিংবা অনলাইন শপ পোশাক ডিজাইন করে থাকে।

বিজয়ের রং লাল সবুজ হলেও এখন ডিজাইনের কারণে লাল সবুজের পাশাপাশি নানা রকম রং দেখা যায়। ডিজাইনার ক্ষেত্রে যেই বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের পতাকা, বাংলাদেশের মানচিত্র, বাংলাদেশের মুদ্রা, বর্ণমালা, আদর্শলিপি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, কবিতা, স্লোগান, স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতি, প্রভৃতি প্রাসঙ্গিক বিষয় যা বিজয় দিবসের সময়গুলোকে ইঙ্গিত করে। মূল বিষয় হলো নকশার মোটিফের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে নানান প্রাচুর্য।

রং এর ক্ষেত্রে লাল সবুজ ছাড়া যে রং গুলো বেশি প্রাধান্য পেয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হয়েছে খয়েরি, লালচে কমলা, হালকা সবুজ, নীলচে সবুজ ও সাদা। লাল ও সবুজ ছাড়া অন্যান্য রঙগুলোকে প্রাধান্য দেওয়ার মূল কারণ যাতে করে এগুলো অন্য কোন সময়ও করা যায়।

কোন কোন ধরনের পোশাকগুলো এবারের বিজয় দিবসের প্রাধান্য পেয়েছে:
প্রথমেই শাড়ি চাহিদার সবচেয়ে উর্ধ্বে। বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে ফ্যাশন হাউজ গুলো বিজয় দিবস ভিত্তিক নানান ধরনের শাড়ির ডিজাইন করেছে এবং সেখানে রঙেরও রয়েছে বেশ ভিন্নতা। এছাড়াও জামদানি শাড়ি এই বিজয় দিবসে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে জামদানি শাড়ির মধ্যে লাল সবুজ ছাড়া খয়েরি ও হালকা সবুজ এই দুটি রং বেশ প্রাধান্য পেয়েছে। দেশীয় শাড়ির মধ্যে মণিপুরি ও শিবুরি বাটিকও বেশ জনপ্রিয়। এছাড়াও বিজয় দিবসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য শাড়ির মধ্যে বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে যেই সমস্ত শাড়ি ডিজাইন করা হয়েছে সেগুলো প্রাধান্যের শীর্ষে।

বেশিরভাগ ফ্যাশন হাউজ গুলোর সালোয়ার কামিজের ক্ষেত্রে লাল-সবুজের মিশ্রিত একটি নকশা তৈরি করেছে। সুতি কিংবা খাদি কাপড়ের মধ্যে বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে নানান ধরনের নকশা ছাপা হয়েছে। কামিজের নকশায় কবিতা, স্লোগান, বর্ণমালা, আদর্শলিপি, বাংলাদেশের মানচিত্র করা হয়েছে। এছাড়া এক কালারের সালোয়ার এবং ব্লক করা কিংবা বাটিক করা ওড়না গুলোই বেশি দেখা গিয়েছে। এছাড়া পোশাকের ক্ষেত্রে কুর্তি, কটি,গাউন ও স্কার্টসহ আরো নানান ধরনের পোশাকই রয়েছে যেগুলো চাইলেই বিজয় দিবসে পড়া যায়।

শুধু পোশাকের মাধ্যমেই বিজয় দিবসের আমেজকে পূর্ণতা দেওয়া সম্ভব নয়। তার সাথে টিপ,কাচের চুড়ি, পোশাকের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ গহনা এইসবের কোন জুড়ি নেই।

যাপিত জীবনে লাল সবুজের ‘বিশ্বরঙ’
দেশের স্বাধীনতার গৌরব এবং সৃজনশীল শিল্পের স্বাধীনতা এ দুইয়ের প্রতি রয়েছে বিশ্বরঙ এর বিনম্র শ্রদ্ধাবোধ। দেশীয় সকল উৎসব পার্বণে ফ্যাশন হাউজ ‘বিশ্বরঙ’ এর থাকে বিশেষ বিশেষ আয়োজন। ‘বিশ্বরঙ’-এর ফ্যাশনের মূল ভাবনা গড়ে উঠেছে দেশীয় আত্মপরিচয়কে ঘিরে। বিজয় দিবসের পোশাকগুলো ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয়, দায়িত্ব ও মূল্যবোধ থেকেই করা হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্বরঙ এর রয়েছে লাল সবুজের বিশেষ আয়োজন, দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ রয়েছে পোশাকের নকশায়। টি শার্টে রয়েছে বাংলাদেশের পতাকার গ্রাফিক্যাল ফর্মের নান্দনিক উপস্থাপনায় টাইফোগ্রাফি, ক্যালিওগ্রাফির সমন্ময়। শাড়ীর আচল যেন একটি সবুজ জমিনের মাঝে টকটকে লাল সূর্যে থাকছে দেশাত্ববোধক গানের টাইফোগ্রাফি। দেশীয় রং, দেশীয় কাপড় এ আয়োজনের মূল উপাদান। লাল-সবুজ আমাদের পতাকার রঙ, আমাদের বিজয় এর প্রতীক। বিজয়ের এই ডিসেম্বর মাস জুড়ে তাই লাল সবুজকে নিয়েই ‘বিশ্বরঙ’- এর যত আয়োজন। “লাল সবুজের উৎসব” চলছে মাস ব্যাপী বিশ্বরঙ এর সকল শোরুমে এবং অনলাইনে।

এছাড়াও প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহার পরিকল্পনায় ‘যাপিত জীবনে লাল-সবুজের প্রভাব’ শিরোনামে নির্মিত হয়েছে ফ্যাশন ভিডিও। ভিডিওতে প্রকাশ পেয়েছে লাল- সবুজ রঙ কিভাবে আমাদের যাপিত জীবনে প্রভাব ফেলে। আমাদের নাগরিক সময়ের যাপিত জীবনের প্রেমময়তায়, সুখে-দুঃখে, ভালোবাসায়, দেশ মাতৃকার আরাধনায় লাল সবুজের প্রভাব আমাদের মননে, সময়ে।

শীতের আগমনে পোশাকগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে মোটা সুতি ও খাদি কাপড়। ‘বিশ্বরঙ’এর শাড়ী, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবী, টি-শার্ট, উত্তরীয়, মগ ইত্যাদিতে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশ সংবলিত লেখা ও লাল-সবুজ রং এর মাধ্যমে উঠে এসেছে দেশীয় ভাবনা। পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান এসেছে ডিজাইনের অনুসঙ্গ হিসাবে। কাজের মাধ্যম হিসাবে এসেছে টাই-ডাই, ব্লক, বাটিক, এপ্লিক, কাটওয়াক, স্ক্রিনপ্রিন্ট ইত্যাদি।

‘বিশ্বরঙ’-এর বিজয় দিবস এর বিশেষ আয়োজনে বিশেষ ভাবে থাকছে ‘বাংলাদেশ’ লেখা সংবলিত টি-শার্ট। শুধু বিজয়ের মাসেই নয় বরং সারা বছরই লাল সবুজ হতে পারে ফ্যাশন সচেতনদের ফ্যাশন ভাবনা, দেশপ্রেমী মনের পরিচয়।

ছবি ও পোশাক: বিশ্বরঙ

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ