Skip to content

৯ই জুন, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ | শুক্রবার | ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গরমে প্রশান্তি ডাবের পানিতে

স্বাভাবিকের চেয়ে এ বছর গরমের প্রকোপ অনেক বেশি। মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে শরীর ডি-হাইড্রেট হয়ে যাচ্ছে খুবই দ্রুত। তবে এই ডি-হাইড্রেশন দূর করার জন্য আমরা অনেকে কোমল পানি পান করে থাকি। কিন্তু তা কতটা স্বাস্থ্যকর আমরা অনেকেই জানিনা। তাই রাস্তা-ঘাটের শরবত কিংবা বিভিন্ন কোমল পানিও পরিহার করে ডাবের পানি পান করা স্বাস্থ্যসম্মত।

এই পরিস্থিতি ডাবের পানি যদি পান করা যায় তা অনেক উপকারী কারণ ডাবের পানি কোন কৃত্রিম পানি নয় আর এটি কেবলই শুধু পানীয় নয়। এতে রয়েছে খনিজ লবণ পটাশিয়াম এবং নানা রকম রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা।

ডাবের পানি দ্রুত পানিশূন্যতা দূর করে বলে পান করার পর বেশ ঝরঝরে লাগে এটা ঠিক, কিন্তু এতে ক্যালরি বা শক্তি যে খুব বেশি রয়েছে, তা নয়। তবে এর শর্করার প্রায় পুরোটাই সহজ শর্করা, মানে দ্রুত রক্তে মিশে যেতে সক্ষম। ডাবের পানিতে পটাশিয়াম আছে। কিডনিতে সমস্যাজনিত রোগীদের ডাবের পানি কম খেতে বলা হয়। ১০০মিলিলিটার ডাবের পানিতে পটাশিয়ামের পরিমাণ ১৮৫ মিলিগ্রাম।

ডাবের পানি কলেরা প্রতিরোধ করে, বদহজম দূর করে, হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, গরমে ডি-হাইড্রেশন-এর সমস্যায় বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ব্যায়ামের পর যখন শরীর ঘেমে ক্লান্ত হয়ে যায় তখন ডাবের পানি পান করলে শরীরের ফ্লুইড-এর ভারসাম্য বজায় থাকে। গরমের কারণে ঘামাচি, ত্বক পুড়ে গেলে ডাবের পানি লাগালে আরাম পাওয়া যায়। ডাবের পানি পান করলে ত্বক অনেক সতেজ থাকে। ডায়াবেটিস রোগীরা ডাবের পানি পান করতে পারে। ডাবের পানি বাচ্চাদের গ্রোথ বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরে ব্লাড সার্কুলেশন ভালো রাখে।

এ ছাড়া কোলাইটিস, আলসার, গ্যাস্ট্রিক, পাইলস, ডিসেন্ট্রি ও কিডনিতে পাথর-এসব সমস্যায়ও ডাবের পানি খুবই উপকারী। ঘন ঘন বমি হলে ডাবের পানি ওষুধ হিসেবে কাজ করে। ডাবের পানি নতুন চুল গজাতে বড় ভূমিকা পালন করে। ডাবের পানি শুধু পানি নয় এ রয়েছে অনেক ঔষধি গুন। যা শরীরের কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

অনন্যা/ ডিডি

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ