দুর্ভিক্ষ
দুর্বিষহ দুর্ভিক্ষ সততা,চরিত্র,নৈতিকতার বাজারে
প্রভুত আকাল মানবতা ও রুচি হৃদমাজারে।
কুলাঙ্গার সময়ে দাঁড়িয়ে বেহুদা বাতাসে ভিজে
লিখতে খেরোপাতা জীবনের রোজনামচা নিজে!
তপ্ত দাবদাহে পুড়ে পুড়ে অঙ্গার মন ভাবনার করিডোরে,
আসবে কি সোনালী রোদ্দুর পূর্ণ যৌবনা বাসনার চরে?
বেধুমসুন্দরের চিৎকার চেঁচামেচি পোয়াতিরাতের চাঁদে।
সবকিছু আটকে গেছে অনিয়মের যাতাকলের ফাঁদে।
কলঙ্কিত আঁধার হানা দেয় ব্যয়িত দিনের উষ্ণ অধরে
চুমে যায় অর্বাচীন সময়ে নষ্টাকীটের চাতুরির চাদরে।
কিছুই বলার নেই কিচ্ছু করার নেই চোখে ছানি যাচ্ছে
বেড়ে তরতর করে,নাগীনির নিঃশব্দ নিঃশ্বাস গোগ্রাসে
গিলছে স্বপ্নআশা এক নিমেষে অবক্ষয়ের করাল গ্রাসে।
বৈরী আবহাওয়া হৃদয় উঠোনে কোথাও নেই যেন কেউ
কিছুই নেই অবশিষ্ট মনুষ্য খন্ডিতপ্রলয়ের এ কোন ঢেউ!
স্বার্থের দুয়ারে বিক্রিত সব মানুষ নামের পন্য সের দরে,
অবিক্রীত কিঞ্চিত বিবেক ছুঁয়ে ভালোবাসা এমনি করে।
হাটে,মাঠে,ঘাটে,পাঠে,কাগজে,মগজে,পোর্টে,কোর্টে,
ঠোঁটে,মনে,মননে ,বাজারে ,মাজারে,জীবনে মরণে,
স্মরণে,বরণে যাপিত জীবনে দুঃসহ দুর্ভিক্ষ সবখানে ।