ব্রেস্ট ক্যানসার
পুরো পৃথিবীতে ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে নারীর মৃত্যু সংখ্যা বেশি। পাল্লা দিয়ে যেন ব্রেস্ট ক্যানসারের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই ১০ অক্টোবর পালিত হয় ‘স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস’।
কিন্তু শুধু অক্টোবর মাস না পুরো বছরজুড়েই নারীর থাকতে হবে এই বিষয়ে সচেতন। ব্রেস্ট ক্যানসারের কারণগুলো মধ্যে স্থূলতা অন্যতম তাছাড়া দেরিতে সন্তান নেয়া কিংবা সন্তান না নেয়াও এর কারণ , মনোপজের পরে নারীদের এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় এবং আরও অজানা কারণে ব্রেস্ট ক্যানসার হতে থাকে। তবে পরিবারের কোনো ব্যক্তি বিশেষ করে মা কিংবা খালার যদি এই ব্রেস্ট ক্যানসার হয়ে থাকে তাহলে এই রোগে হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
ব্রেস্ট ক্যানসারের কিছু সাধারণ লক্ষণ
স্তনের আকৃতি বদলে যাওয়া, স্তনের চামড়া লাল হয়ে যাওয়া, নিপল দিয়ে রক্ত বের হওয়া, স্তনে চাকা কিংবা পিণ্ড অনুভব করা। এইগুলো ছাড়াও অন্য কোনো লক্ষণেও এই রোগ দেখা দিতে পারে। উপরের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
আমাদের দেশের নারীরা এখনো স্তন্য নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে দ্বিধাবোধ করে, অনেক সময় কোনো স্তনে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দিলেও তারা লজ্জায় এটা কারো কাছে বলে না। এতে করে রোগ আরো গভীর হয় এবং নিরাময় যোগ্য থাকে না। যদি শুরুতেই এই রোগ ধরা পরে যাওয়া তাহলে রোগীর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রতিটি নারীর উচিত প্রতি বছর বিশেষজ্ঞ সাথে আলোচনা করে নিজের স্তন্য সুস্থ আছে কিনা পরীক্ষা করা বিশেষ করে যাদের পরিবারে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ইতিহাস রয়েছে।
মনে রাখতে হবে, সচেতনতাই এর একমাত্র সমাধান, নিজেকে গুটিয়ে না রেখে এই বিষয়ে আলোচনা করতে হবে তবেই কিছুটা হলেও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার কমানো যাবে।
কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা মাধ্যমে খুব সহজেই এই রোগ এখন ধরা পরে যায়। যদি কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে যায় তাকে মনোবল রাখতে হবে কারণ ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে অনেক নারী। আমাদের দেশ সহ পুরো বিশ্বে রয়েছে ব্রেস্ট ক্যান্সারের আধুনিক চিকিৎসা। তাই আতংকিত না হয়ে আমাদের আরও বেশী সচেতন হতে হবে।