Skip to content

৭ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কথা না বলাই কি সমাধান!

আমরা মানুষ। মানুষের জীবনে প্রতিদিন কোনো না কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। কখনো বাড়িতে তো কখনো বাড়ির বাইরে। সমস্যা আসবেই, কিন্তু এই সমস্যার সমাধান কি চুপ করে থাকা?

 

একজন নারীকে প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হয় ফুঁকে ফুঁকে। কারণ কখন, কোথায় কোন বিপদ বা প্রতিবন্ধকতা নারী নিজেই জানে না। প্রতিবন্ধকতা আসবে বলে কি নারীর নিজেকে চার দেয়ালে বন্দী করে রাখতে হবে?

 

অনেক সময় দেখা যায়, নারীকে দোষারোপ করা হয় যে কাজের জন্য, সেই কাজটা ওই নারী করেইনি। কিন্তু তার পরও তাকে দোষারোপ করা হয়। নারী যখন নিজের কথা বলতে যায়, তার দিক থেকে বিষয়টি বোঝাতে যায়, তখন উলটো তাকেই দোষী বলা হয়। তাহলে নারীর দোষটা কোথায়, কথা বলায়? নিজের দিকটি তুলে ধরায়?

 কিছু মানুষ থাকে, যাদের কাছে নারীর সব কাজই দোষের হয়। কারণ, তাদের কাছে নারী মানেই হলো, তারা কোনো না কোনো ভুল করবেই। অনেক নারীই রয়েছে, যারা এই দোষ শুনেও প্রতিবাদ করে না। আবার এমনো নারী আছে, যারা নিজের অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করে। কিন্তু তার পরও তাকে দোষী বানানো হয়।

 

 মানুষের জীবনে তো প্রতিবন্ধকতা আসবেই। তাহলে এই প্রতিবন্ধকতার সমাধান কি কথা বলা, না কথা না বলে চুপ করে থাকা?

 

অবশ্যই না। নারীর নিজের জন্য নিজেকেই এগিয়ে আসতে হবে। জীবনে প্রতিবন্ধকতা আসবে আর এই প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য নিজেকেই চেষ্টা করতে হবে। এর পরও যদি নিজেকে দোষী হতে হয়, তাতে আর কোনো আফসোস থাকে না। কারণ, নিজের অধিকারের জন্য, নিজের আত্মসম্মানের জন্য কথা বলার পরও দোষী হলে নিজেকে স্বান্তনা দেওয়া যায় যে, না আমি আমার দিক থেকে ঠিক আছি, আমি প্রতিবাদ করেছি।

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ