নারীর সাজগোজ
সাজতে ভালোবাসে না এমন নারী খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রতিটা নারী চায় তাকে লাগুক সবার মাঝে নজরকাড়া। সাজের ক্ষেত্রে ভিন্নতা আসে স্থানভেদে। সব জায়গায় সব ধরনের সাজ গ্রহণযোগ্য নয়, তাই স্থান, পরিবেশ সব কিছু মাথায় রেখেই আমাদের নিজেদের সাজাতে হয়।
যেমন কর্মস্থান কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব জাঁকজমক সাজ বেমানান। এসব জায়গায় সুতির কোনো আরামদায়ক শাড়ি কিংবা কুর্তি পরিধান করা যেতে পারে। আর মুখে হালকা ফেইস পাউডার, মশ্চারাইজার আর চোখে কাজলই যথেষ্ট।
আবার দাওয়াতে যাওয়ার আগে পরা যেতে পারে সালোয়ার কামিজ কিংবা হাফ সিল্কের শাড়ি, করা যেতে পারে হালকা মেকআপ। বিয়ে বাড়ি কিংবা জন্মদিনের পার্টিতে গেলে গর্জিয়াস লুক দেয়া যেতেই পারে।
জামদানি বা কাতান শাড়ি বিয়ে বাড়ির জন্য বেশ মানানসই। শাড়ির পরিবর্তে লেহেঙ্গাও বিয়ে বাড়িতে পরে যাওয়া যায়। বিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় পোশাকের সাথে মিল রেখে খুব সুন্দর করে চোখ সাজানো যেতে পারে। আর শাড়ির সাথে খোঁপা করে বেলি ফুল কিংবা গোলাপ ফুল গুঁজে দিলে লাগতে পারে সবার চেয়ে ভিন্ন।
আজকাল নারীদের পছন্দের তালিকায় আছে ওয়েস্টার্ন পোশাক, তাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে ফ্যাশন হাউজগুলো তুলছে বাহারি সব কালেকশন বন্ধুদের সাথে হ্যাংআউট, পিকনিক, ফর্মাল কিংবা ক্যাজুয়াল ডিনারে প্রাধান্য পাচ্ছে ওয়েস্টার্ন পোশাক।
তবে সাজের ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানে সময় এবং ঋতুকে প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ রাতে খুব ভারী পোশাক কিংবা মেকআপ নেয়া গেলেও, দিনের সাজের মধ্যে থাকতে হবে কিছুটা স্নিগ্ধতা। ফ্যাশন কিংবা ট্রেন্ডকে অনুসরণ করতে গিয়ে এমন কোনো পোশাক বেছে নেয়া যাবে না যা স্বস্তি দিচ্ছে না এবং বেমানান লাগছে।