কর্মক্ষেত্রে কেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে যা করণীয়
বাড়ছে করোনার নতুন পুরাতন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন-ডেল্টার সংক্রমণ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে কর্মস্থলে কি ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, কর্মীদেরই বা করণীয় কি– সে বিষয়ে সবারই কমবেশি জানা।
কয়েকদিন ঠাণ্ডা-কাশি নিয়ে কোনো সহকর্মী অফিস করার পর যখন জানা যায়, সে করোনায় আক্রান্ত তখন অন্য সবার মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। অদৃশ্য এ জীবাণু কখন কাকে সংক্রমিত করছে, তা তো বুঝা যায় না। তাই কর্মক্ষেত্রে কারও করোনা হলে অন্যদের কোনো উপসর্গ নাই বলে অলস বসে থাকা ঠিক নয়। দ্রুত করোনা শরীরে বাসা বেধেছে কিনা পরীক্ষা করানো উচিত। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে আর কি কি করতে হবে জেনে নিন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মস্থল পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে হবে। ডেস্ক, টেবিল, টেলিফোন, কি–বোর্ড ইত্যাদি জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
অফিস স্টাফদের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে আসা অন্য ব্যক্তিদের ভালোভাবে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা অবশ্যই রাখতে হবে। এবং এ কাজটি করার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে। কারণ ভাইরাস রয়েছে এমন স্থান ও সামগ্রীর স্পর্শে আসা কারও মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অফিসে আসার পথে ভ্রমণ পরামর্শ মেনে চলার জন্য অফিসের কর্মীদের পরামর্শ দিতে হবে। এ সময় মাস্ক ব্যবহার যেনো ভুলে না যায়। অফিসে আসার পর কেউ শুষ্ক কাশি, জ্বর, অসুস্থতা বোধ করলে তাকে দ্রুত (হাসপাতালে পাঠানো বা বাসায় রাখা) সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ঝুঁকি এড়াতে কর্মীদের করোনাভাইরাস সংক্রমিত এলাকায় যাওয়া থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেওয়া উচিত। যতটা সম্ভব ভিড়, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টিস্যু পেপার সঙ্গে রাখতে হবে। হাঁচি-কাশি দেওয়া ব্যক্তিদের থেকে অন্তত এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ সময় স্ট্রিট ফুড না খাওয়াই ভালো।
সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে এমন এলাকা থেকে আসার পর কর্মীদের প্রয়োজনে ১৪ দিনের জন্য পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। শুষ্ক কাশি, জ্বর, অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দিলে কর্মীকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে দিতে হবে। যেসব কর্মীরা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা, ক্যান্সারের মতো রোগে ভুগছেন, তাদের বেশি সর্তক থাকতে পরামর্শ দিতে হবে। ভুলে যাবেন না, সতর্কতা, পরিকল্পনা ও তৎপরতাই আপনার প্রতিষ্ঠানকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।