পরিবার ভেদে নারীর বেড়ে উঠা
একজন মানুষের বেড়ে উঠায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে তার পরিবার। পরিবারের শিক্ষা ও আদর্শই একজন মানুষকে সঠিক মানুষে পরিণত করতে পারে। একজন নারীকে স্বাবলম্বী করে তুলতে মুখ্য ভূমিকায় থাকে পরিবার। পারিবারিক শিক্ষা একেক জায়গায় একেক রকম হয়ে থাকে। ফলে একেক পরিবারে নারীর স্বাবলম্বিতা একেকরকম হয়। একটি উচ্চবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা এবং একটি নিম্নবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা এক নয়।
চলাফেরা, অভ্যাস, অভ্যস্ততা সব দিক থেকেই ভিন্নতা থাকে। একটি গ্রামের মেয়ে ১৮ বছর বয়স হতে না হতেই তার পরিবার তার বিয়ের তোড়জোড় করে। অপরদিকে শহরের সচ্ছল পরিবার মেয়েদের উচ্চশিক্ষার কথা চিন্তা করে। এই বিভেদের কারণে গ্রামীণ পরিবেশে সচ্ছল অসচ্ছল উভয় পরিবারের মেয়েরা নিজেদের ছোট থেকে গুটিয়ে নেয়। নিজেদের ক্যারিয়ারে ব্যতিক্রম কিছু করতে হবে এই কথা কখনও মাথায় নিয়েই আসে না। তারা নিজেদেরকে পরিবারের গণ্ডিতেই বদ্ধ করে রাখে।
মেয়েরা চাইলেই অনেক কিছু করতে পারে কিন্তু এই চাওয়ার সাথে পরিবারের সাপোর্ট অনেক বেশি প্রয়োজন। উচ্চবিত্ত পরিবারে মেয়েদেরকে তাদের লক্ষ্যের দিকে পৌঁছাতে পরিবারের সদস্যরা সকলে সাহায্য করে। আর নিম্নবিত্ত পরিবারে মেয়েদের বোঝা মনে করে। তাই তাদের পড়াশোনা শেষ হওয়ার আগেই বিয়ে দিয়ে দেয় এবং তাদের পড়াশোনার ইতি টেনে দেয়।
পরিবার ভেদে নারীর বেড়ে উঠা ও চলাচল ভিন্ন হয়ে থাকে। পরিবার নারীর চলাচলে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় পরিবর্তন আনতে পারে। ছোট থেকে তার মধ্যে স্বাবলম্বী হয়ে উঠার স্বপ্ন জাগিয়ে তুলতে পরিবার মুখ্য ভূমিকা রাখে। নারীরা সামনে গিয়ে কি করবে না করবে, তাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানো, নিজের জন্য কিছু করা সম্পূর্ণটাই পরিবারভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।