সতেজ ও উজ্জ্বল সাজের বেশকিছু টিপস
সবরকম বিধিনিষেধ শেষে এবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে সবাই। যদিও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বাধ্যবাধকতা এখনো রয়েছে সব জায়গায়। কাজের ব্যস্ততার পাশাপাশি বন্ধুদের আড্ডা, ঘরোয়া দাওয়াত কিংবা পার্টির আয়োজনও শুরু হয়েছে বলা যায়। এবার নিজেকে সাজানোর পালা। কিন্তু সবার আগে মাথায় রাখতে হবে আবহাওয়ার কথা। মেঘের পাল উড়িয়ে প্রকৃতিতে হেমন্ত এলেও থেমে থেমে বৃষ্টি ও অস্বস্তিকর গরমে সাজপোশাক নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তাই বিউটি বক্সে আবহাওয়াবান্ধব সাজের উপকরণ থাকা চাই। যা সাজেও চমক আনতে পারে সহজেই।
সাদামাটা বেস
গরম ও আর্দ্রতার প্রভাবে কারও ত্বক হয়ে ওঠে তেলতেলে। আবার কারও স্যাঁতসেঁতে। যে কারণে ত্বকে ক্লান্তি বা ভারী ভাব অনুভূত হতে পারে। সঙ্গে অস্বস্তি। তাই ভারী বেস এড়িয়ে চলতে হবে। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের সহজ উপায় এটিই, মেকআপ বেসকে যতটা সম্ভব হালকা রাখা। এতে লোমকূপও স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে। তাই ফাউন্ডেশন হওয়া চাই আবহাওয়া উপযোগী। এ সময় ভারী ফাউন্ডেশনের বিকল্প হতে পারে বিবি বা সিসি ক্রিম। যা কমপক্ষে এসপিএফ ৩০–যুক্ত হতে হবে। এ ধরনের ফাউন্ডেশনের অনেকগুলো বাড়তি সুবিধা রয়েছে। যেমন মেকআপ লুকের পাশাপাশি ত্বককে আর্দ্র রাখবে, দাগছোপ ঢেকে রাখবে আর রোদেও সুরক্ষা দেবে। কেউ চাইলে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজারও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি মুখের ত্বকে আর্দ্রতার জোগান দেওয়ার পাশাপাশি মেকআপ লুককেও সতেজ রাখবে।
মেকআপের গলে যাওয়া মানা
অস্বস্তিকর গরম মানেই ঘামের বিড়ম্বনা। সঙ্গে মেকআপ গলে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই সোয়েটপ্রুফ মেকআপ বেছে নেওয়া ভালো। পাশাপাশি আইশ্যাডো, আইলাইনার, মাসকারা বা কাজল হওয়া চাই স্মাজপ্রুফ। এতে ত্বক ঘেমে গেলে বা কিছুটা বৃষ্টির পানির ঝাপটা লাগলেও চোখের সাজ থাকবে অটুট। এসব মেকআপের রয়েছে বাড়তি কিছু সুবিধা। যেমন এসবের প্রতিটা টান দেখায় সুস্পষ্ট, দীর্ঘ সময় স্থায়ী ও প্রফেশনাল লুক তৈরি করে। আইশ্যাডোর রং বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানের ধরনকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। গোলাপি, কমলা, সোনালির মতো রংগুলো বেছে নেওয়া যেতে পারে। আবার চাইলে রংহীন মাসকারাও ব্যবহার করা যায়। এতেও সাজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কমে অনেকটা।
মেকআপে চাই উজ্জ্বলতা
অনেকে মনে করেন, গরমে উজ্জ্বল মেকআপ বেমানান। কিন্তু তা ঠিক নয়। উজ্জ্বল বা গ্লোয়িং লুক সব সময় আকর্ষণীয়। এ জন্য সহজ উপায় হাইলাইটারের ব্যবহার। এমন আবহাওয়ার জন্য চাই জেল টেক্সচার হাইলাইটার। এগুলো ওয়েল বেসড হাইলাইটারের চেয়ে শুষ্ক এবং সব ধরনের ত্বকে মানিয়ে যায়। জেল বেসড হাইলাইটার এখন বাজারে সহজেই পাওয়া যায়।
স্বস্তি ও আরাম
গরম বেশি থাকলেও ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে ঠোঁট হয়ে ওঠে খসখসে। অনেকের আবার শীতের মতো গরমেও চামড়া ওঠার সমস্যাও দেখা দেয়। এ জন্য ঠোঁটে নিয়মিত স্ক্রাব করা প্রয়োজন। এতে ঠোঁটের মৃত কোষ দূর হবে। দেখাবে পুষ্ট, কোমল ও মসৃণ। আর ঠোঁট সাজাতে চাই ওয়াটার জেল বেসড লিপ টিন্ট। এটি ঠোঁটে অতিরিক্ত আর্দ্রতার জোগান দেয়। এতে ঠোঁট সাধারণভাবেই সুন্দর হয়ে ওঠে। কেউ যদি আরও সাদামাটা, আরামদায়ক ও মিনিমাল লুক বেছে নিতে চান, তবে স্বচ্ছ লিপগ্লসও ব্যবহার করতে পারে।