লাল কাহন
হে বিধাতা!
চেয়ে দেখো পৃথিবী পানে
তোমার শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার আজ শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি'কেই ধ্বংস করছে ধর্ম বর্ণের অজুহাত আর অর্থ ক্ষমতার বদৌলতে।
ধর্মের গাছ আগাছায় পরিণত হচ্ছে
জন্ম নিচ্ছে কিছু অধার্মিক ভুলেভরা ফুল ফসল
যার স্বাদ আস্বাদনে মানবতা হচ্ছে মুমূর্ষু রোগী
মরছে বেলা অবেলায়।
তোমার বর্গাচাষীরা
অখণ্ড ভুবনকে স্ব স্ব নামে খণ্ডিত করে বাহারি পতাকার পসরা সাজিয়েছে।
"জোর যার মুল্লুক তার" নিয়মের অনিয়ম ঘটাতে অনাগ্রহী সেই স্বঘোষিত শক্তি লাল,
লালে-লালে পতাকা-পতাকায় লাল ঝরাচ্ছে প্রতিনিয়ত; বিশ্বব্যাপী প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তার লাভের লোভে।
অশ্রুসজল লাল এ ধরায় আজ ক্ষুধার্ত নির্যাতিত শোষিত বঞ্চিত; তুমি কি শুনতে পাওনা?
সেই গগনবিদারী লাল- চিৎকার!
বৃক্ষপত্র ছালবাকল পরা তোমার সেই আদিম লাল-বংশধর'রা সভ্যতার বস্ত্র পরিধান করেও নির্ঘুম পৈশাচিক আনন্দে দিগম্বর হচ্ছে রাতের পর রাত, লাল-আলোয়।
পাছে জীবনসঙ্গী'রা
সংসারী দায় মাথায় প্রেমের বাসর সাজিয়ে অপেক্ষা'র প্রহর গোণে ভালোবাসার দুয়ার খুলে,
তোমার লাল আসে না; আসেনি ভোর অবধি প্রেমের বাসরে কাঙ্ক্ষিত লাল-কুল সৃজিতে।
আসবে কি করে হায়!
লালে'রা লাল নেশায় সময় কাটায়
ব্যস্ত ভূষণ সরিয়ে লাল- লজ্জা গণনায়।
হে বিশ্বপতি
শুধু লাল নয় আজ লজ্জারাও
তোমার প্রতি লজ্জিত
তবু
ক্ষমো অপরাধ প্রভু বাঁচাও এ ভুবন
করো তোমার রহমতে সজ্জিত।