রান্নাঘরের টুকিটাকি
রান্নাঘরের কাজ অনেক সময় বিরক্তি নিয়ে আসে। কারণ টুকিটাকি কিছু কাজ করলেও সঠিকভাবে হয় না। তবে এসব কিছু কাজের জন্য আবার কিছু টিপস রয়েছে, যা অনুসরণ করলে সহজেই কাজ গুলো করা যায়। এগুলো হলো-
পাতলা কাঁচের থালা পরিষ্কার করার জন্য কখনো পানিতে ডোবাবেন না। ফেটে যেতে পারে। ভিনেগার দিয়ে পরিষ্কার করলে ঝকঝকে থাকবে।
স্টেনলেস স্টিলের প্লেটের গায়ে লেগে থাকা দাগ পরিষ্কার করতে চাইলে একটুকরো সাদা কাপড় ভিনেগারে ডুবিয়ে ঘষলেই প্লেট পরিষ্কার হয়ে যাবে।
কাঁচের প্লেটের দাগ টুথপেস্ট দিয়ে ঘষে দিলে সহজেই উঠে যায়।
কিসমিসের গায়ে ছাতা ধরা আটকাতে হলে কিসমিসগুলোকে ময়দার মধ্যে নাড়াচাড়া করে নিন। পরে ধুয়ে নিলেই ব্যবহার করা যাবে।
মাছ কাটতে গেলে অনেক সময় কাঁটা বিধে যায়। প্রথম কাঁটা বেধা জায়গায় লবণ দিন। ব্যথা কমবে। কাঁটা তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসবে।
পাটায় ছোট ছোট গর্তে মসলা জমে থাকলে পরিষ্কার হয় না সহজে। কিছুটা বালি দিয়ে বাটুন। পাটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আমরা প্রায়ই নানারকম রান্না করি কলা পাতায় মুড়ে। যেমন ইলিশ মাছের পাতুরি। কাঁচা পাতা ব্যবহারের সময় প্রায়ই ফেটে যায়। কলার পাতাটি আগে আগুনে সেঁকে নরম করে নিন পাতা ফাটবে না।
কোনো অনুষ্ঠানে যদি ভুলবশত প্রয়োজন অতিরিক্ত লেবু কাটা হয়ে যায় তবে অতিরিক্ত লেবুগুলোকে লবণের ডিশে রেখে দিন। বেশ কয়েক দিন ভালো থাকবে।
ফ্রিজে একটি পাতিলেবু টুকরো করে কেটে রেখে দিন। ভেতরের যাবতীয় গন্ধ লেবু শুষে নেবে, ফ্রিজ থাকবে পরিষ্কার।
কোনো কারণে বেশি খাওয়া হয়ে গেলে অন্তত আধঘন্টা ধরে এক গ্লাস গরম পানি একটু একটু করে খাবেন। এতে হজম হয়ে যাবে।
বাদামের খোসা ছাড়াতে গেলে প্রথমে বাদামগুলোকে পাঁচ মিনিট ফুটন্ত পানিতে রেখে দিন। পানি ঝরিয়ে নিয়ে দেখুন সহজেই খোসা উঠে আসবে।
রান্নার সময় সবজির গন্ধ দূর করতে হলে সামান্য পাতিলেবুর রস বা চিনি মিশিয়ে দিবেন।
চা করার পর চায়ের পাতা ফেলে না দিয়ে বাড়ির মেঝেতে ঘষুন। মেঝে চকচকে হয়ে যাবে।
সরাসরি জারে দিয়ে রুটি না সেঁকাই ভালো। পুরনো কাপড়ের টুকরো তৈরি করে, তাওয়ার উপরে রাখা রুটির চারপাশে ওই টুকরো দিয়ে চাপ দিলেই রুটি ফুলে উঠবে।
অনেক সময় টক দই, বিশেষ খরে পুরনো হয়ে গেলে বড্ড বেশি টক হয়ে যায়। সে ক্ষেত্র দই কাপড়ের টুকরোয় বেঁধে বেশ খানিকক্ষণ ঝুলিয়ে রাখতে হয়। তাতে দইয়ে যে পানি থাকে তা ঝরে যাবে। এবার প্রয়োজনীয় মাত্রায় দুধ মেশান। টকদই টাটকা ও মিষ্টি হয়ে যাবে।
ঘিয়ের গন্ধ অক্ষুণ্ণ রাখতে হলে গিয়ের পাত্রে একটু আখের গুড় রেখে দিন।
আলু সেদ্ধ করার পর এ পানি দিয়ে যদি প্লেট ধোওয়া যায় তাহলে প্লেট ঝকঝকে হবে।
টাটকা পেঁপের ঘন কষ একটা কাঁচ বা ছোট প্লেটে রাখুন। কষ জমে গেলে, কষের সমপরিমাণ লবণ মিশিয়ে রোদে দিন। শুকিয়ে গেলে গুঁড়ো করে মুখ বন্ধ শিশিতে রেখে দিন। মাংসের পরিমাণ বুঝে ১/২ চা চামচ বা ১ চা চামচ গুঁড়ো কষ কাটা মাংসে ভালো করে মেখে ঘণ্টা খানেক ঢেকে রাখুন। ঘন্টাখানেক পর মসলা ইত্যাদি দিয়ে যেমন মাংস হয় রান্না করুন। তাড়াতাড়ি মাংস সেদ্ধ হবে। যে সময় বা যে জায়গায় হাতের কাছে কাঁচা পেঁপে নেই অথচ মাংস তাড়াতাড়ি রান্না দরকার তখন ওই গুঁড়োটি কাজে লাগে।
সব রকম ফলই কেটে স্টিলের বাঁটিতে রাখা ভালো, তাহলে কাটা ফল কাল হয় না।
টিনে বা কৌটায় চাল রেখে উপরের দিকে ১-২ আঙ্গুল খালি রেখে নিমপাতা খালি জায়গায় ভালো করে দিয়ে দেবেন। নিমপাতা ছায়ায় রেখে রস শুকিয়ে নেবেন।
সরিষা বাটার সময় নুন, কাঁচামরিচ ও সামান্য রসুন দিয়ে নিন। এতে সরিষা তিতা হবে না।
কাঁচামরিচের বোঁটা ফেলে ঠোঙ্গায় করে ফ্রিজে রাখুন। অনেক দিন ভালো থাকবে।
ডিম সেদ্ধ করার সময় সামান্য নুন বা সিরকা ঢেলে দিন। সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়ানো সহজ হবে।
গরম মসলা গুঁড়া করার আগে টেলে নিন। পরে গুঁড়া করুন। এতে মসলার গন্ধ ভালো হবে।
এলাচ গুঁড়া করার সময় খানিকটা চিনি দিয়ে নিন।
বেগুন কেটে নুন গোলা পানিতে ১৩ মিনিট চুবিয়ে রাখুন। বেগুনের তিতাভাব চলে যাবে।
খুশখুশে বা শুকনো কাশি ভালো করতে চাইলে ডাসা পেয়ারা চার ভাগ করে কেটে ছুরির আগায় লাগিয়ে চুলার ওপর ধরুন। চার পাশ লাল করে শেকা হলে মধু, বিট লবণ ও গোল মরিচের গুঁড়া দিয়ে মেখে পর পর ৭ দিন খান। কাশি ভালো হয়ে যাবে।
পালং শাক ধোয়ার পর কেটে হলুদ গোলা পানিতে ডুবিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর তুলে সাদা পানিতে একবার ধুয়ে নিন। শাকের তিতাভাব থাকবে না।
পিঁপড়া আসে এমন ছিদ্রতে কেরোসিন তেল স্প্রে করে তার ওপর চুন গুঁড়া করে ছড়িয়ে দিন রান্না হাঁড়ি পাতিল রাখার টেবিল বা তাকের চারপাশে চুন হলুদ ও লবণের মিশ্রণ ছড়িয়ে রাখুন। পিঁপড়ার উপদ্রব বন্ধ হবে।
কাবুলি ছোলা বা মটর ভিজানোর সময় সামান্য খাবার সোডা মিশিয়ে দিন। এতে ছোলা বা মটর তাড়াতাড়ি নরম হবে।