আদার যত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
যেকোনো রান্নায় আদা না দিলে ঠিক জুতসই হয় না। কিছুটা ঝাঁজালো এই মশলাটির মাঝে থেরাপিউটিক উপাদান আছে। এমনকী ঘরোয়া টোটকাতেও আদা বিভিন্ন সময় ব্যবহার করা হয়। সর্দি, কাশি, কফের ক্ষেত্রে চা কিংবা গরম পানিতে আদা মিশিয়ে খান অনেকে। আবার অনেকে শুধু আদা কুচি খেয়ে কফ নিবারণ করেন। আদা ব্যবহারে পেটেব্যথা, শরীর ব্যথা ও অন্যান্য শারীরিক দুর্বলতা দূর করা সম্ভব।
কিন্তু অতিরিক্ত কিছুই ভালো না। হ্যাঁ, আদার ভেষজ গুণ আছে। কিন্তু অতিরিক্ত আদা স্বাস্থ্যের জন্যে ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। অতিরিক্ত আদা খাওয়ার কিছু পার্শ্বপ্রক্রিয়া আছে। একথা সত্যি সবার ক্ষেত্রে এই পার্শ্বপ্রক্রিয়া সমানভাবে কাজ করে না। নিচের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো জানলে আপনি সবসময় সুস্থতার জন্যে আদা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও মিতব্যয়ী হবেন।
প্রদাহজনিত সমস্যা
অতিরিক্ত আদা খেলে হার্টবার্ন, গ্যাস, পেট ফাঁপা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। সচরাচর দিনে চার গ্রামের বেশি আদা খাওয়া উচিত নয়। আমরা অবশ্য অনেকেই এই সমস্যাগুলোর সঙ্গে কমবেশি পরিচিত। তবু, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা আদা খাওয়ার ক্ষেত্রে মিতব্যয়িতার পরিচয় দিতে পারি না।
কার্ডিয়াক সমস্যা
আগেই বলেছি অতিরিক্ত আদা খেলে হার্টবার্ন হয়। অর্থাৎ আদা খেলে হার্টের সমস্যাও হয়। আদা হার্ট পালপিটেশন ঘটায়। ফলে অনেক সময় দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায় ও ইনসমনিয়া হতে পারে। এমনকী অনেকের লো ব্লাড প্রেশারের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের কোনো কাজে আসে না
অতিরিক্ত আদা খেলে রক্তচাপ নিম্নমুখী হয়। এতে মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব কাজ করে। অতিরিক্ত আদা ও ডায়াবেটিসের ওষুধ ভয়ঙ্কর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেয়।
গর্ভবতীরা এড়িয়ে চলুন
আদা খেলে ইউটারিন কনট্র্যাকশন হয়। চিকিৎসকরা তাই অন্তঃসত্ত্বা নারীদের আদা খাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে দেন। গর্ভকালীন সময়ে এসিড রিফ্লেক্স অথবা হার্টবার্ন বিপজ্জনক। যদিও অনাগত শিশুর ওপর আদা আদৌ ক্ষতিকর প্রভাব রাখে কি না, তা প্রমাণিত হয়নি। তবে মায়ের সুস্থতার জন্যে আদা এড়িয়ে চলাই ভালো।
মায়ের সুস্থতার জন্যে আদা এড়িয়ে চলাই ভালো
পেট খারাপ কিংবা ডায়রিয়া
আদা খেলে পাকস্থলীতে বাইল উৎপাদন হয় বেশি। এই উপাদানটি হজমে সাহায্য করে। খালি পেটে অবশ্য এই উপাদান ক্ষতিই করে। খালি পেটে হজমের জন্যে কোনো খাদ্য না থাকলে পেট খারাপ বা ডায়রিয়া হতে পারে।
চোখ ও ত্বকের এলার্জি
অনেকের আদা খেলে চোখ ও ত্বকে এলার্জি হয়। ত্বকে লাল র্যাশ দেখা দেয় এবং অনেকের চোখ লাল হয়ে যায়। এরকম সমস্যা হলে কোনো এন্টিহিস্টামিন না নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
অনন্যা/এআই