অতিরিক্ত ডিউডোরেন্ট ব্যবহারে স্তন ক্যানসারের আশঙ্কা
অতিরিক্ত ডিউডোরেন্ট ব্যবহারের ফলে দেহে এর প্রভাব দেখা দিতে পারে, কারণ ঘামের গন্ধ দূর করার জন্য এতে ব্যবহার করা হয় সুগন্ধি যুক্ত কেমিক্যাল, যা দেহের ক্ষতির কারণ। আর স্তন ক্যানসার শুধু নারীদেরই যে হয় তা নয়, স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন একজন পুরুষেও। অনেকেই ডিউডোরেন্ট ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না যে এই ডিউডোরেন্ট ব্যবহারের ফলে আপনার ঘাম নির্গত হচ্ছেনা বরং তা বের হওয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কারণ ডিউডোরেন্ট যে রাসায়নিক কেমিক্যাল থাকে তা বগলের লোমকূপ বন্ধ করে দেয় যার জন্য দেহ থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় ঘাম আর বের হতে পারে না।
অনেকেই বগলে ঘামের গন্ধ হওয়াটাকে অপমানজনক মনে করে থাকেন। ভাবেন যে কোথাও গেলে যদি গায়ে থেকে বিশেষ করে বগল থেকে ঘামের দুর্গন্ধ আসে তাহলে তা খুব লজ্জাজনক ব্যাপার এবং এর জন্যই ব্যবহার করে থাকেন ডিউডোরেন্ট। এই ডিউডোরেন্ট তাৎক্ষণিক ভাবে ঘামের গন্ধ রোধ করে থাকলেও বার বার ব্যবহারের ফলে তা ঘামের সাথে মিশে যায়, যা স্তন ক্যানসার হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।
ডিউডোরেন্ট ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের দেহ থেকে ঘাম বের হয়ে যাওয়াটা দেহেরই একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আমরা সুস্থ থাকতে পারি। কিন্তু এই সুস্থতার মধ্যে বাধা দিয়ে থাকে সামান্য ডিউডোরেন্টের ব্যবহার। এই সকল ঘামের গন্ধ রোধ করার দ্রব্যগুলো তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে বিশেষ অ্যালুমিনিয়াম, যা শুধু স্তন ক্যানসারই নয় আরো কিছু জটিল রোগেরও কারণ হতে পারে।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, প্রতিদিন ঘামের গন্ধ রোধ করার দ্রব্য ব্যবহারের ফলে ব্যক্তি স্তন ক্যানসারেও আক্রান্ত হতে পারেন। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি থাকে তখনই যখন বগলের লোম শেভ করার পর সাথে সাথে ডিউডোরেন্ট ব্যবহার করা হয়। আরও কিছু ভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, ডিউডোরেন্টের অ্যালুমিনিয়াম উপাদান যা বগলে দেয়ার পর দেহের রক্ত প্রবাহের সাথে মিশে যায় এবং মানুষের মস্তিষ্কেও সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং আলঝেইমার (মস্তিষ্কের অসুখ) হতে পারে।
পূর্বে ডিউডোরেন্ট ব্যবহার করাকে খুব বেশি ক্ষতিকর না ভাবা হলেও বর্তমানে অনেক গবেষণার পর এটি মানুষের দেহের জন্য বেশ ক্ষতিকরই বলা হচ্ছে। একজন স্তন ক্যানসারে মৃত নারীর স্তনের টিস্যুতে খুঁজে পাওয়া যায় ডিউডোরেন্ট ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব এবং এই বিষয়টিই সকলের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তাই দেহের সুস্থতায় আমাদের অবশ্যই কসমেটিকস ব্যবহারে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। কেমিক্যাল যুক্ত কসমেটিক ব্যবহার না করে যদি আমরা দেহের সুস্থতায় প্রয়োজনীয় খাবার খাই তাহলে হয়তো এই ঘাম রোধ করার জন্য কোন কসমেটিক ব্যবহার করতে হবে না। তাছাড়া যেকোনো বিজ্ঞাপন দেখে কসমেটিক না কেনাই ভালো। আর কিনতে হলেও অবশ্যই ভালোকরে যাচাই করে নিন। কারণ অতি সাধারণ কসমেটিক ব্যাবহারে হতে পারে যেকোনো ধরনের বিপদ।