দাঁতের যন্ত্রণায় মুক্তি মিলবে সহজেই
দাঁতের ব্যথায় ভুগতে থাকেন প্রায় সব বয়সের মানুষই । অনেকের আবার বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন যেমন দাঁতে ব্যথা, মাড়ি ফুলে যাওয়া, পোকা হওয়া ও ছোট ছোট গর্ত ইত্যাদি। এছাড়াও দাঁতের রয়েছে নানান সমস্যা যার মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার কারণে দাঁতের ক্যাভিটি অন্যতম । আসুন জেনে নেয়া যাক দাঁতের যত্নের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো।
কুসুম গরম লবণ-পানি দাঁতের সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে। এই লবণ-পানি মুখের ভেতরে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে দেয় না ও ক্যাভিটি ভালো করে। লবণ-পানি অ্যাসিড সরিয়ে আমাদের মুখে পিএইচ স্তরকে নিরপেক্ষ করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ক্যাভিটি থেকে যন্ত্রণা হলে সেটিও সরিয়ে তোলে লেবু। মুখে এক টুকরো লেবু নিয়ে চিবোতে থাকুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলি করুন।
নিম কাঠি দিয়ে অনেকেই দাঁত মাজেন, যা দাঁত ভালো রাখে। নিমে থাকা ফাইবার দাঁতে প্লাক হতে দেবে না। কয়েকটা নিমপাতা চিবিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তেতো স্বাদের জন্য নিম অনেকে পছন্দ না করলেও এটা ক্যাভিটি সারাতে খুব ভালো কাজ করে।
আপনার খাওয়া খাবার থেকে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সংগ্রহ করতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি ক্যাভিটির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। ফ্লুরাইড ক্যাভিটির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এবং দাঁতের এনামেল রক্ষা করতে খুব ভালো কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ফ্লুরাইড টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজলে ক্যাভিটি হয় না।
মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খাবেন না। মিষ্টি খাবার দাঁতের সব থেকে বেশি ক্ষতি করে। তিল বা নারিকেল তেল ১০ মিনিটের মতো দাঁতে লাগিয়ে রাখুন। তারপর কুলকুচি করে ধুয়ে ফেলুন। ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, তিলের তেল দিয়ে এটা করলে প্লাক, জিঞ্জিভাইটিস এবং মুখের ব্যাকটেরিয়া কমায়। ক্যাভিটি সারাতে লবঙ্গ দারুণ উপকারী। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল যা ক্যাভিটি ছড়াতে দেয় না।
তাই প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর দাঁত পরিষ্কার করতে হবে। এ ছাড়া দাঁতের ফাঁকে যেন খাবার জমে না থাকে সে জন্য খাওয়ার পর সুতা বা সরু কাঠি দিয়ে জমে থাকা ময়লা বের করে আনতে হবে। এই জমে থাকা খাদ্য-কণা দাঁতে ব্যাকটেরিয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। ক্যাভিটি হচ্ছে বুঝতে পারলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।