ঋতুচক্রে সুস্থতার সঠিক লক্ষণ
প্রায় সব নারীরাই মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল বা ঋতুচক্র নিয়ে কম বেশি সমস্যায় ভোগেন। নিয়মিত মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল কিন্তু সুস্থতার লক্ষণ। তবে পিরিয়ড মিস করা মানেই আপনি গর্ভবতী, এমনটা ভাবারও কোনও কারণ নেই। হতে পারে অন্য কোনও শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন আপনি। তবে এব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করাই শ্রেয়।
সাধারণভাবে এই সাইকেলের সময় সীমা ২৮-৩৫ দিন। পিরিয়ডেরর প্রথম দিনকে সাইকেলের প্রথম দিন হিসেবে ধরা হয়। সাইকেল এই নিয়ম মেনে চলা মানে আপনি সুস্থ আছেন। অন্যথায়, ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই উচিত। আসুন জেনে নেয়া যাক পিরিয়ডের সেই স্বাভাবিক লক্ষণ গুলো যাতে বুঝতে পারবেন আপনি সুস্থ কিনা।
পিরিয়ড সীমার ক্ষেত্রে সাধারণ মেন্সট্রুয়াল পিরিয়ড ৩ থেকে ৭ দিন ধরে হয়। বয়সের সঙ্গে এই সময়ের গ্যাপ কমতে থাকে। প্রথম দু-তিনদিন রক্তপাত বেশি হয়। তারপরে আসতে আসতে কমতে থাকে।
মেন্সট্রুয়াল সাইকেলে এর ফ্লো স্বাভাবিকতার আরেকটি বিশেষ লক্ষণ বহন করে। প্রতি পিরিয়ডের সময় মোটামুটি এক কাপ মত রক্তপাত হয়। ওই সময় দিনে ২-৩ টে স্যানিটারি প্যাডের ব্যবহার স্বাভাবিক। কিন্তু দিনে ৬-৮ প্যাডের প্রয়োজনীয়তা কিন্তু অস্বাভাবিক। অতিরিক্ত রক্তপাত আসলে রক্তাল্পতার লক্ষণ। উল্টোদিকে কম রক্তপাতও কিন্তু স্বাভাবিক নয়। ইনফেকশন বা হরমোনের সমস্যা, কোনও ওষুধের সাইড এফেক্ট এমনকি ব্রেন টিউমার থেকেও রক্তপাত কম হতে পারে। সেক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াই উত্তম। উভয়ক্ষেত্রেই পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যাও থাকতে পারে।
পিরিয়ডের ক্ষরিত রক্তের রং যদি উজ্জ্বল লাল হয়, তার মানে আপনি সুস্থ আছেন। কিন্তু, রক্তের রং যদি বাদামি বা বেশ কালচে লাল হয় তার মানে কিন্তু শরীর হরমোন জনিত সমস্যায় ভুগছে।
পিরিয়ড এর সময় তলপেটে হালকা যন্ত্রণা, একটু অস্বাচ্ছন্দ্য স্বাভাবিক। কিন্তু, লাগাতার অতিরিক্ত যন্ত্রণা, মাথা ঘোরা, বমিভাব কিন্তু স্বাভাবিক নয়। একবার, দুবার হতেও পারে। কিন্তু যদি প্রত্যেকবার একই অবস্থা হয় অবশ্যই গাইনিকোলজিস্ট দেখান।
সচেতনতার সাথে পিরিয়ডের দিন গুলোতে প্রয়োজন যত্নের। সুস্থ সুন্দর জীবনের মধ্যে থেকেই জীবনের প্রাপ্তি অর্জন হয়ে উঠুক আনন্দময়।