সোফিয়ার পর এবার এলো রোবট মানবী গ্রেস

রোবট মানবী সোফিয়ার কথাতো আমরা কম বেশি সবাই শুনেছি। তার বুদ্ধিমত্তা, দ্রুত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা সবাইকে অবাক করেছিল। তবে এবার আরো অবাক হতে হবে গ্রেসকে দেখে৷ এবার করোনাকালে গ্রেস কাজ করবে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে!

য়ের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হ্যানসন রোবটিক্স ২০১৭ সালে সোফিয়া রোবটটিকে দুনিয়ার সামনে উন্মোচিত করে। একটি পর্যায় সৌদি সরকার রোবটটিকে নাগরিকত্ব দিয়ে দেয় এর কাজের উপর মুগ্ধ হয়ে। সেই হ্যানসন রোবটিকসই এবার নিয়ে এসেছে গ্রেসকে৷ হ্যানসন রোবটিকসের তৈরি করা এই রোবট-মানবীর দক্ষতা আরো বেশি৷ গ্রেস ইংলিশ, মান্দারিন এবং ক্যান্টোনিজ- এই ৩টি ভাষায় কথা বলতে পারে।

জার্মানি সংবাদ মাধ্যম এর ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা সংকট শুরুর পর থেকে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন স্বাস্থকর্মীরা৷ মূলত এই স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা করতেই গ্রেসকে নিয়ে এসেছে হ্যানসন রোবটিকস৷ চলমান করোনাকালে যেসব বয়স্ক মানুষ- যারা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দী- তাদের সঙ্গে কথা বলে স্বাস্থ্যসেবা দেবে এই রোবট-মানবী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার দেশ হংকংয়ে তৈরি বলে গ্রেসের চেহারাও একেবারে এশীয়দের আদলেই তৈরি করা হয়েছে৷ নীল পোশাক পরা গ্রেসকে প্রায় কাঁধ পর্যন্ত নামা বাদামি চুলে খুব স্মার্ট দেখাচ্ছে। মানুষের সঙ্গে নির্দিষ্ট বিষয়ে অনায়াসে কথা বলতে পারে গ্রেস৷ কারণ তার রয়েছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের গুণ। তাছাড়া এর বুকে একটা থার্মাল ক্যামেরা ফিট করা আছে। এর ফলে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা মেপে নিতেও কোনো অসুবিধা হয় না তার৷

রিয়ায় আগামী বছরের মধ্যে এ ধরনের রোবট উৎপাদন পুরোদমে শুরু করা হবে৷ তবে প্রাথমিক অবস্থায় খুব কম সংখ্যক গ্রেস তৈরি করা হবে। ফলে আপাতত প্রতিটি রোবটের দাম একটি বিলাসবহুল গাড়ির মতো হতে পারে। তবে ভবিষ্যতে যখন শত শত রোবট তৈরি শুরু হবে তখন গ্রেসের দাম অনেক কমে যাবে বলেই ধারণা করছে হ্যানসন রোবটিকস।

দেশ বিদেশে বিভিন্ন রোবট বিভিন্ন সময়ে উদ্ভাবিত হয়েছে। তবে করোনাকালীন সময়ে এক অদ্ভুত উদ্ভাবন এই রোবট মানবী গ্রেস। ফ্রন্টলাইন ফাইটারদের সাহায্য করাই যে প্রযুক্তির মূলমন্ত্র। কেই বা জানে হয়তো এই গ্রেসকে দিয়ে মানব সেবায় রোবটের ভূমিকার এক নতুন অধ্যায় রচিত হলো।