Skip to content

৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | শনিবার | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গর্ভাবস্থায় নারীর খাবার

একটি পরিবারে সব চেয়ে আনন্দের মুহূর্ত হলো পরিবারে নতুন সদস্যের আগমন। নতুন সদস্যের আগমনে পুরো পরিবার একত্রিত হয়ে হবু মায়ের যত্ন নেন। এই সময়ে সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন হবু মায়ের খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো হচ্ছে কি না। কারণ, তাঁর কোনো অনিয়ম হলে, সেটা বাচ্চার উপরেও প্রভাব ফেলবে। তাই গর্ভাবস্থায় নারীর খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

গর্ভাবস্থায় নারীর ওজন বেড়ে যায়। ১০-১২ কেজি ওজন বাড়লে সেটা স্বাভাবিক। এই ওজন যদি বেশি বেড়ে যায়, তাহলে সেটা ক্ষতিকর। আবার ওজন কমে গেলেও সেটা ক্ষতিকর। তাই ওজন যেন স্বাভাবিক বাড়ে, সে-দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ-জন্য গর্ভাবস্থায় নারীর জন্য তৈরি করতে হবে বিশেষ ডায়েট চার্ট।

চার্ট:

সকালের দিকে কিছুটা শরীর খারাপ থাকে প্রায় সব গর্ভবতী মায়ের। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্ল্যাস গরম গরুর দুধ খেতে হবে, এতে করে সকালের দুর্বলতা কেটে যাবে। গরুর দুধে সমস্যা হলে এক গ্ল্যাস নারকেলদুধ বা লেবুপানির শরবতও খাওয়া যাবে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বল বা বুক জ্বালা উপশমে সাহায্য করে। সকালের খাবার হবু মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকালের খাবারের তালিকায় প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। এই তালিকায় এক গ্ল্যাস কমলালেবুর রস, একটি সবজিযুক্ত স্যান্ডউইচ রাখতে পারেন। এগুলো প্রোটিনের সর্বোত্তম উৎস। এ-ছাড়া, আলু, গাজর, পালংশাক, ডাল বা দইয়ের সাথে মেশানো সবজিসহ ২টা পরোটা, হবু মাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে থাকে।

দুপুরের খাবারে সুষ্ঠুতা জাতীয় খাবার রাখতে হবে। ডাল, বিন, দানাশস্য, বিভিন্ন বাদাম ও শাক-সবজি দিয়ে খাবার প্রস্তুত করতে হবে। এতে করে ভিটামিন, ফাইবার, খনিজ পদার্থ শরীরে সরবরাহ হবে। এ-ছাড়া, মুরগির মাংস কিংবা মাছও খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। রান্নায় স্বাস্থ্যকর তেল পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।

সকালের খাবারের পর এবং দুপুরের খাবারের আগে স্ন্যাকস হিসেবে এক বাটি স্যুপ বা সবজির সালাদ খেতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় নারীদের ঘন ঘন ক্ষুধা লাগে। তাই রাতের খাবারের আগে সন্ধ্যায় তাদের নাস্তায় টাটকা ফল, এক মুঠো আখরোট, কাঠবাদাম বা খেজুর জাতীয় খাবার খেতে পারেন।

শরীরের হাইড্রেড ঠিক রাখতে টাটকা ফলের রস প্রস্তুত করে রাখতে হবে, কিছুক্ষণ পর পর খেতে হবে। এ-ছাড়া, গ্রিন টি ও খেতে পারেন। গ্রিন টিও শরীরকে আরাম দেবে।

এরপর আসে রাতের খাবার। রাতের হালকা খাবার হতে হবে এবং তাড়াতাড়ি খাবার অভ্যাস করতে হবে। কারণ, এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাসটি শরীর সুস্থ রাখবে এবং রাতে ভালো ঘুম হতেও সাহায্য করবে। এ-ছাড়া, দুপুরের খাবারের আইডিয়াটি রাতেও ফলো করা যেতে পারে।

মা সুস্থ থাকলেই বাচ্চা সুস্থ থাকবে। তাই গর্ভাবস্থায় মায়ের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। মায়ের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ