১৩ বছর পর মুখ খুললেন সানিয়া মির্জা
২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিক গেমসের মাঝপথে হঠাৎ নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন ভারতের নারী টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। হঠাৎ তার নেওয়া এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ঝড় বয়ে দিয়েছিল ভারতীয় টেনিস মহলে। তবুও সেই সময় নিশ্চুপ ছিলেন সানিয়া। প্রায় ১৩ বছর পর সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ জানালেন ভারতীয় এই টেনিস তারকা।
সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে সানিয়া বিষয়টি খোলাসা করেছেন। তিনি বলেন “প্রত্যেক ক্রীড়াবিদ দেশের হয়ে খেলতে নামলে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। আমিও সেই মানসিকতা নিয়ে বেজিং অলিম্পিকের শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ডান হাতের কব্জির যন্ত্রণা খুব ভোগাতে শুরু করে। তখন আমার সবে ২০ বছর বয়স।
সেই ঘটনার আগে পর্যন্ত জীবনে সব কিছু বেশ ভালই যাচ্ছিল। কিন্তু সে বারের চোট আমাকে মানসিক ভাবে আরও পিছনে ঠেলে দেয়। শুধু কাঁদতাম। প্রায় এক মাস খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। প্রায় তিন-চার মাস নিজেকে ঘরবন্দি করে রাখার জন্য মানসিক অবসাদে চলে গিয়েছিলাম।”
২০১৩ বেজিং অলিম্পিক গেমসে মেয়েদের সিঙ্গলসের প্রথম রাউন্ডে সানিয়ার বিপক্ষে কোর্টে নামেন চেক প্রজাতন্ত্রের ইভেটা বেনেসোভা। সেই ম্যাচে ২-৬ ব্যবধানে প্রথম সেটে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় সেটেও ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলেন সানিয়া। আর ঠিক সেই সময় তার ডান হাতের কব্জির ব্যথা বাড়তে থাকে। ফলে খেলা থেকে এবং অলিম্পিক থেকেও সরে দাঁড়াতে বাধ্য তিনি।