রাসেল এ কাউসারের “সেল মি দিস পেন”
রেসের ময়দানে পিছিয়ে পড়া ছেলে মেয়েদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা এই বইটির নাম হলো, সেল মি দিস পেন।
সেল মে দিস পেন বাক্যটি কে লেখক এখানে রূপক অর্থে ব্যাবহার করেছেন। তিনি বলেছেন, একটা কলম কিনার সময় আমরা সেই কলমের ফিচার না কিনে বরং বেনেফিট কিনার কথা ভাবি। আমরা ভাবি এই কলমের লেখা স্মুথ এবং দ্রুত হবে তো? ঠিক একই ভাবে সোসাইটিতে, জব মার্কেটে বা যে কোন বিজনেসে এমন একজন মানুষকেই প্রাধান্য দেয়া হয় যিনি নিজের ভেতরে থাকা বেনেফিট গুলো কে সেল করতে পারেন। লেখক এই বইতে সেই বেনেফিট গুলোই কিভাবে সেল করবেন বা কিভাবে অর্জন করবেন সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে।
বইটি পড়ে কি কি জানা যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বইতে মোট ৬৩ টি গল্প আছে, গল্প গুলো আপনাকে প্রোডাক্টিভিটি ম্যানেজমেন্ট, পারসোনাল ব্র্যান্ডিং, টাইম ম্যানেজমেন্ট, জব মার্কেট হ্যাকস এবং বিজনেস হ্যাকস সহ আরো নানান কিছুর অজানা সব তথ্য জানান দিবে। বইটি কাদের উদ্দেশ্যে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে লাখে লাখে বিদেশী মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বেতন নিয়ে যায়, কিন্তু নিজের দেশের ছেলে মেয়ে চাকরি না করে এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করে।মূলত সেই সকল ছেলে মেয়েদের জন্য "সেল মি দিস পেন" দারুণ একটা দিক নির্দেষণা হতে পারে। এছাড়া তিনি আরো বলেছেন, সেল্ফ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আমাদের দেশে শত শত বই পাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ বই ই ইংরেজীতে হওয়ায় ছেলে মেয়েরা সেগুলা পড়ার আগ্রহ পায় না। আর তাদের এই অনাগ্রহের ব্যাপারটা মাথায় রেখেই বইটা কিছুটা ইনফরমাল ভাষায় লেখা হয়েছে যেনো সকলে বইটি কে নিজের বন্ধুর দেয়া পরামর্শ মনে করতে পারে।