Skip to content

৫ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | রবিবার | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার প্রথম কার্যকরী ভ্যাকসিন আবিষ্কারক মুসলিম দম্পতি

মহামারি করোনা ভাইরাসের কবলে পুরো পৃথিবী কোনো দেশ বা অঞ্চলই করোনার হাত থেকে রেরহাই পায়নি করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ করছে বেশ অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। অনেক বিজ্ঞানীও সন্ধানে রয়েছে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের এরমধ্যে ফাইজার জার্মানভিত্তিক বায়োএনটেক কোম্পানিই ভ্যাকসিন নিয়ে প্রথম সুখবরটি দিয়েছে করোনায় প্রথম কার্যকরী ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে এক মুসলিম দম্পতির হাত ধরে  তারা হলেন উগার শাহিন ওজলেম তুরেসি

প্রথম ফাইজারই জানান, তাদের ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৯৫ শতাংশ কার্যকর। এর পরপর আরেকটি কার্যকর ভ্যাকসিনের ঘোষণা দেয় মডার্না। কিন্তু প্রথমে কার্যকরী ভ্যাকসিনের কথা জানিয়েছেন ফাইজার। তাই ফাইজার এর টিই প্রথম হিসেবে বিবেচিত ফাইজারের করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পুরো দায়িত্বে ছিলেন বায়োএনটেক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা তুরস্ক বংশোদ্ভূত জার্মান দম্পতি উগার শাহিন ওজলেম তুরেসি। এই দুই বিজ্ঞানী মূলত ক্যান্সার সেল নিয়ে গবেষণার জন্য বায়োএনটেক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

৫৫ বছর বয়সী . উগার শাহিনের জন্ম তুরস্কের ইস্কেন্দেরুন শহরে মাত্র চার বছর বয়সে অভিবাসী হিসেবে পরিবারের সঙ্গে জার্মানিতে আসেন। বাবা ফোর্ড গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে সংসার চালাতেন। শৈশব থেকেই উগার শাহিন চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। অবশেষে স্বপ্ন পূরণ শেষে কাজে যোগ দেন এরপর কর্মস্থল থেকেই ১৯৯৩ সালে প্রথম পিএইচডি করেন

সেখানেই পরিচয় হয় . ওজলেম তুরেসির সঙ্গে। তারপর বিয়ে। দুজন মিলে গড়ে তোলেন বায়োএনটেক নামের একটি গবেষণা কেন্দ্র। মূলত ক্যান্সার নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলেন করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কোনো পরিকল্পনা সে সময় ছিল না। বর্তমানে সময়ের প্রেক্ষিতেই তারা করোনা ভ্যাকিসিন নিয়ে কাজ শুরু করেন তাদের ক্যান্সার গবেষণার প্রতিষ্ঠানটিতে
অন্যদিকে ৫৩ বছর বয়সী . ওজলেম তুরেসির জন্ম জার্মানিতেই। জন্মের আগেই তাঁর পরিবার জার্মানিতে পাড়ি জমায়। বাবা ছিলেন চিকিৎসক। বাবার পথ অনুসরণ করে তিনিও চিকিৎসক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তারা দুজনেই একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। ওজলেম তুরেসি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা। ইমিউনলজিস্ট হিসেবে তাঁর খ্যাতি রয়েছে

দুই বছর আগে জার্মানির একটি সেমিনারে মানবদেহের কোষে অবস্থিত আরএনএ সেল সম্পর্কে গবেষণামূলক তথ্য উপস্থাপন করেছিলেন উগার শাহিন। সেখানেই পরিচয় হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজারের সিইও আলবার্ট বোরলার সঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পরলে বোরলা বায়োএনটেকের সিইও . শাহিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সেই আলাপের সূত্র ধরেই শুরু হয় কোভিড১৯ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের গবেষণা শুরু করেন 

 

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ