Skip to content

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | সোমবার | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুরাও আনন্দ ভাগ করে নিতে শিখুক

যুগ বদলেছে, আর যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলেছে মানুষের আচরণ। একটা সময় ছিলো ঈদ মানে দলবেঁধে চাঁদ দেখা, ঈদের নতুন জামা ঈদের দিন পর্যন্ত লুকিয়ে রাখা পাঁচে ঈদ পুরোনো হয়ে যাবে৷ সকালে ঘুম থেকে উঠে বড়দের সালাম আর সালামির পর্ব সেরে পাড়ার সব বন্ধুরা দলবেঁধে ঈদ মেলায় যাওয়া, মেলা থেকে হরেক রকম খেলনা কিনে বাড়ী ফেরা। ঈদের আমেজটাই তখন অন্যরকম। বেশিদিন আগের কথা নয় এই ধরুন বর্তমান জেনারেশানের ছোটবেলার কথাই।

ছোটবেলা পেরিয়ে আসতেই এখন এদের দেখা যায় ‘ঈদ বলে এখন আর আলাদা কিছু অনুভুত হয় না, সব দিনের মত একই রকম ‘ এমন মন্তব্যে দুঃখ করতে। অথচ এই এরাই এই বর্তমান জেনারেশান ইন্টারনেট আর প্রযুক্তিতে এতটাই এগিয়ে গেছে যে ছেলেবেলার ঈদটাই হারিয়ে ফেলেছে। বলছি না ইন্টারনেট বা প্রযুক্তি খারাপ। তা অবশ্যই আর্শীবাদ। তবে সমস্যা হয়েছে বর্তমানের এই ঈদের আনন্দ হারিয়ে ফেলা মানুষের বেশিরভাগই নিজেরা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ইন্টারনেট দ্বারা।

অথচ এখনো চাইলে ঈদ এলে সেটাকে উদযাপন করা যায় পরিবারের সবার সঙ্গে । একসঙ্গে চাইলেই চাঁদ দেখা যায়। ঈদে অনেক মানুষ আছেন যারা পারেন না নতুন পোশাক, বাহারী খাবারের আয়োজন করতে৷ আপনার বাসায় যে মহিলা কাজ করেন, গেইটে যে লোকটা সারাদিন পাহারা দিয়ে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন এরাও যে সেই না পারার দলে আপনার ঘরে বেড়ে ওঠা সন্তানটি সে কথা জানেও না।

তবে যেদিন সে সন্তান পরিবারের দায়িত্ব নেবে সেদিন সে জানবেও না ঈদের আনন্দকে কি করে চারপাশের সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে। কারণ তার জানার বয়সটাতে তো সে অনুভব করেছে, ‘ ঈদ আবার আলাদা কিছু না, সবদিনের মত একই রকম। ‘ যে হয়তো ঈদের আনন্দকে উদযাপনের বদলে মুখ গুঁজে ছিলো কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের স্ক্রিনে, গেমিংয়ে।

বরং আপনার বেড়ে ওঠা সন্তানকে জানতে দিন, তাকে দেখতে দিন, অনুভব করতে দিন ঈদ মানে সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া। তাকে শেখান ইন্টারনেটের বাইরে ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে সবাই মিলে একসঙ্গে উদযাপন করা, ঈদ মানে সকলের খুশির দিন। ঈদের দিনে পাশের বাসায় সেমাইটা না হয় আপনার সন্তানের হাত দিয়েই পাঠান৷ অথবা একসঙ্গে মিষ্টিমুখ করার জন্য তাকে পাঠান প্রতিবেশীদের ডেকে আনতে। আশেপাশের অসহায়, সামর্থ্যবান নয় যারা তাদেরকে ঈদ উপলক্ষে সাহায্যটা, একটা নতুন পোশাক, ঈদের সেমাই, পায়েস বা অন্য কোনো খাবার আপনার সন্তানের হাত দিয়ে দিন। তাকে শেখান ঈদের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে।

অনন্যা/এসএএস

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ