মুমূর্ষু শিশির
অশোক পাতার উপরিচরে শুয়ে শুয়ে
মুমূর্ষু শিশির ব্যথায় ছটফটায়।
দুঃখের অতুল সাগরে ডুবকি লাগিয়ে
কূলে আসতেই জীবন ফুরায়।
শক্ত মাটির বিন্দু কণায় জল ছিটিয়ে
ব্যথাতুর বৃষ্টি কান্দে নিরালায়।
কষ্টের উঁচু পাহাড়ে উঠে দাঁড়াতে গিয়ে
মানুষ দৈহিক সক্ষমতা হারায়।
অপরাহ্নে দুপুর সাদা ডালা সাজিয়ে
ক্লান্ত মেঘ নিস্তেজ লুটে ধুলায়।
ছেঁড়া কাঁথায় ফোঁড় তুলতে তুলতেই
রক্তস্রোত শিরায় জমাট বাঁধায়।
সেগুন কাঠের আঁচিতে চিতা বানিয়ে
বিষন্ন সূর্য নীরবে কাঁপে ঠান্ডায়।
হতাশার সিঁড়ি বাইতে বাইতে অচিরে
যৌবনকে ঘুনপোকা খাবলে খায়।
কোটি তারার দলে চাঁদটি হেসে খেলে
কলঙ্কের ভয়ে দিনে মুখ লুকায়।
দুঃস্বপ্নের নির্ঘুম প্রহর গুনতে গুনতেই
মৃত্যুদূত বিদায়ের ঘন্টা বাজায়।