Skip to content

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ | সোমবার | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: নতুন যুগের সূচনা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩ তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে এদিন তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। সে-সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।

আর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবছর দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড চালায়। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যাদ্বয় বিদেশে থাকায় এই নৃশংসতা থেকে রক্ষা পান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যারা শেষ করে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, তাদের হীন কর্মকাণ্ডের কঠোর জবাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান ডিজিটাল দেশ উপহার দিয়েছেন জনগণকে। নতুবা এ জাতি তলিয়ে যেতো গহীন অন্ধকারে। যে অন্ধকার ছেয়ে গিয়েছিল জাতির পিতার মৃত্যুর পর। তখন মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের নৃশংসতা এতটা বেড়ে যায় যার ফল কতটা বীভৎস হয়েছিল তা দেশবাসী মাত্রই জানেন।

বাঙালি জাতি বুকের রক্ত ঢেলে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ পেলেও তার নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাইতো তিনি বাঙালির জাতির পিতা। কিন্তু দেশীয় কিছু শত্রুদের হিংস্রতায় এ দেশ আবারও তলিয়ে যেতে বসেছিল। কিন্তু সেই তলানি থেকে এ পর্যন্ত দীর্ঘ সংগ্রাম-লড়াই করে প্রধানমন্ত্রী একটি ডিজিটাল দেশ উপহার দিয়েছেন। তাঁর পথচলা অব্যাহত রয়েছে বলেই বাঙালি এই সুদিনের সাক্ষী হচ্ছে।

পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, যমুনা ব্রিজ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রভৃতি নানাবিধ অবকাঠামো দেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই এ দেশ প্রকৃত উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। তাই এদিনটির গুরুত্ব বাঙালির জীবনে কোনো অংশে কম নয়। জাতিকে বুঝতে হলে, জানতে হলে জাতির ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান প্রদর্শন অন্যতম।

এদিনে তিনি দেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন একজন নিঃস্ব-সর্বস্বান্ত মানুষ হয়ে তবু তাঁর মনোবল, কঠিন লড়াই, প্রজ্ঞা তাঁকে তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছে। আজকের এই দিনটি ছিল বলেই জাতিও তার সূচনাোরীকে পেয়েছিল। যিনি ভগ্ন হৃদয়েই মনের আলোয় বাঙালি জাতিকে নতুন পথের সন্ধান দিতে উদ্যত হয়েছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, জ্ঞান, দক্ষতা, সততা এবং মেধা দিয়ে তিনি আজ বিশ্বের অন্যতম সরকার প্রধান। তাঁর এই যাত্রা অব্যাহত থাক।

ডাউনলোড করুন অনন্যা অ্যাপ